বিষমদ খেয়ে গলসিতে মৃত সাত, অসুস্থ বহু
সোমবার রাতে মদ্যপান করে বাড়ি ফেরার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ স্থানীয় যুবক সঞ্জয় রুই দাস। অবস্থা ক্রমশ অবনতি ঘটায় সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সঞ্জয়কে।
বর্ধমান, ৩ জানুয়ারি : ফের বিষমদের বলি রাজ্যে। বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হল সাতজনের। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও ৩০। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। তাদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের গলসি থানার রামগোপালপুর অঞ্চলে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। অভিযুক্ত মদ বিক্রেতার খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। অনুমান ঘটনার পরেই এলাকা ছাড়া অভিযুক্ত বিক্রেতা।
জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে মদ্যপান করে বাড়ি ফেরার পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ স্থানীয় যুবক সঞ্জয় রুই দাস। অবস্থা ক্রমশ অবনতি ঘটায় সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সঞ্জয়কে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। শুধু সেই নয়, এক এক করে অনেকেরই অবস্থার অবনতি ঘটায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই সোমবার রাতেই মৃত্যু হয় আরও একজনের। আজ মঙ্গলবার সকালে আরও পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, পুলিশ-প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই দিনের পর দিন রমরমিয়ে মদ বিক্রি হচ্ছে এলাকায়। এই বিষয়ে এলাকার বাসিন্দারা পুলিশের কাছে একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ। শেষমেশ ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষ বেশ কয়েকবার বেআইনি মদের ঠেক ভেঙে দেওয়ার পরেও অবস্থার কিছু উন্নতি হয়নি। নতুন করে ফের বেআইনি মদের ঠেক এলাকায় তৈরি হয়ে গিয়েছে বলেই দাবি এলাকাবাসীর। শুধু তাই নয়, এদিনে এত বড় ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও পুলিশ কিংবা আবগারি দফতরের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। এমনকি, দীর্ঘক্ষণ পর ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ।
যদিও এলাকা মানুষের সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে পুলিশ। তাদের পালটা দাবি, এমন কোনও অভিযোগ আসা মাত্রই কড়া হাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যদিও পুলিশের পালটা অভিযোগ, এলাকার মানুষের একাংশের যোগসাজসেই এলাকায় বাড়বাড়ন্ত বেআইনি মদ বিক্রেতাদের। অন্যদিকে এলাকার মানুষের দেরিতে আসার অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের পালটা দাবি, ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। ইতিমধ্যে ঘটনার মূল অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।