এনসেফেলাইটিসে মৃত্যু বেড়ে ৬০, পরিস্থিতি ভয়াবহ উত্তরবঙ্গে
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে ৭ জুলাই থেকে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে ৬০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সোমবারদিন উত্তরবঙ্গের সাত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠকে বসেন ডাঃ শথপথী। আপাতত খবর পাওয়া পর্যন্ত এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ভয়ানক। এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে যে ৬০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে. তাদের মধ্যে ২৪ জনই জাপানিস এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে অন্যান্য ধরণের এনসেফেলাইটিস পরীক্ষা- নিরীক্ষার সুবিধা নেই। ফলে সমস্যা আরও বাড়ছে।
৬০ জনের মধ্যে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে জাপানিস এনসেফেলাইটিসে: রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর
জলপাইগুড়ি জেলা সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে এই রোগের। ধূপগুড়ি, ময়ানগুড়ির মতো গ্রামাঞ্চলে এই রোগের প্রকপ সবচেয়ে বেশি দেখা গিয়েছে। এই অঞ্চলে প্রচুর শূকরশালা রয়েছে। আর শূকরের থেকেই জাপানিস এনসেফেলাইটিস ছড়িয়ে পড়ে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রসঙ্গত, জীবাণুঘটিত রোগ হল এনসেফেলাইটিস। এতে মস্তিষ্কে প্রদাহ অনুভূত হয়। মৃদু অবস্থায় মাথাব্যথা, জ্বর ইত্যাদি হয়। আর চরম অবস্থা হলে খিঁচুনি হয়, শরীর কাঁপতে থাকে। রোগী ভুল বকে। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুও ঘটে থাকে।
২০১৩ সালেও জাপানিস এনসেফেলাইটিসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু সেবারের তুলনায় এবারের সংখ্যা অনেক বেশি। সেবার যেখানে সংখ্যা ছিল মাত্র ৫, এবারে তা বেড়ে হয়েছে ২৪, যা অবশ্যই বিপদ সঙ্কেত।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাঃ শথপথী জানিয়েছেন, এনসেফেলাইটিসে আক্রন্ত হয়ে ঘন ঘন এত রোগী ভর্তি হচ্ছেন যে তাদের সামাল দেওয়াটাও কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সেই কারণে ২ জন ডাক্তারকে হাসপাতালের ফিভার ক্লিনিকের বহির্বিভাগে বহাল করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি এধরণের ক্লিনিক চালু করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিশেষ করে মালদহে যাতে সবার আগে এই ধরণের ক্লিনিক খোলা যায় তার জন্য চেষ্টা করছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।