গঙ্গাসাগরে দুর্ঘটনা, লঞ্চে উঠতে গিয়ে ভিড়ের চাপে মৃত্যু ৬ পূণ্যার্থীর
গঙ্গাসাগরের কচুবেড়িয়ায় জেটিতে দাঁড়িয়ে থাকার সময়ে দুর্ঘটনা। লঞ্চে উঠতে গিয়ে ভিড়ের চাপে আহত ও অসুস্থ হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
কলকাতা, ১৫ জানুয়ারি : গঙ্গাসাগরের কচুবেড়িয়ায় জেটিতে দাঁড়িয়ে থাকার সময়ে দুর্ঘটনা। লঞ্চে উঠতে গিয়ে ভিড়ের চাপে আহত ও অসুস্থ হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গঙ্গাসাগরের ৫ নম্বর জেটিতে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার পরে বাকীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এদিন ভাটার কারণে বেশ কিছুক্ষণ নৌকা পারাপার আটকে ছিল। জোয়ার আসতেই লঞ্চে উঠে নদী পারাপার করতে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
সূত্রের খবর, জোয়ারের সময়ে লঞ্চে উঠতে গিয়েই এই বিপত্তি ঘটে। বহুক্ষণ ভাটার কারণে দীর্ঘ লাইন পড়ে গিয়েছিল। এরপর পারাপার শুরু হতেই প্রবল ভিড়ের মধ্যে লঞ্চে ওঠার হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সেখানেই ৬ জন অসুস্থ ও আহত হয়ে মারা গিয়েছেন।
পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সাগরের গোটা এলাকা জুড়েই যথেষ্ট পরিমাণে নিরাপত্তা ও পুলিশি বন্দোবস্ত ছিল। নদী পারাপারের জায়গায় সেভাবে নিরাপত্তা দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এটা মেলা ছাড়িয়ে বাইরের এলাকা। ফলে সেখানে দুর্ঘটনা ঘটায় রাজ্য সরকার সহমর্মী হলেও বাস্তবে কিছু করার ছিল না।
জানা গিয়েছে, সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা সহ বাকী সরকারি আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। পরবর্তী সিদ্ধান্ত তাঁরাই নেবেন। মৃতদেহগুলি নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকী পূণ্যার্থীদের যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয় বা নতুন করে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে, সেজন্য রাজ্য সরকারের তরফে নির্দেশ গিয়েছে।
৪ ও ৫ নম্বর জেটি দিয়েই মূলত নদী পারাপার করানো হয়। এবারও যাতে ভাটার সময়ে নৌকা চালানো যায় সেজন্য নদীতে ড্রেসিং করানো হয়েছিল। তবে তা যথেষ্ট ছিল না। এদিন ভাটার সময়ে সেই নৌকা পারাপার বন্ধই ছিল। ফলে জোয়ার আসতেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তার ফলেই এই দুর্ঘটনা বলে জানা গিয়েছে।