বাংলায় শাসক দলের রোষে ভোটাররাও, শেষ দফায় পড়ল ৭৯.০৩ শতাংশ ভোট
পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চম তথা শেষ দফায় আজ ১৭টি আসনে ভোট নেওয়া হল। এগুলি হল বহরমপুর, কৃষ্ণনগর, রাণাঘাট, বনগাঁ, বারাকপুর, দমদম, বারাসত, বসিরহাট, জয়নগর, মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, কলকাতা দক্ষিণ, কলকাতা উত্তর, তমলুক, কাঁথি ও ঘাটাল। ২,৫৬,১৭,৩৬২ জন ভোটার তাঁদের মতাধিকার প্রয়োগ করেছেন। প্রার্থী রয়েছেন ৮৮ জন। সন্ধে ছ'টা অর্থাৎ ভোট শেষ হওয়া পর্যন্ত মতদানের হার ৭৯.০৩ শতাংশ।
আরও
পড়ুন:
ভোট
কমিশন
যেন
হীরক
রাজা,
ভোটকর্মীরা
ফজল
মিঞা
বা
বলরাম
"
/>আরও
পড়ুন:
দেশের
বাকি
২৪টি
আসনেও
ভোট
শেষ,
মতদান
হল
বারাণসীতেও
আরও
পড়ুন:
ভোট
কমিশন
যেন
হীরক
রাজা,
ভোটকর্মীরা
ফজল
মিঞা
বা
বলরাম
বহরমপুর
এখানকার 'বেতাজ বাদশা' হলেন কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী। এক সময় এই বহরমপুর ছিল আরএসপি-র দুর্গ। কিন্তু সেই লাল দুর্গ ধূলিসাৎ করে কংগ্রেসের আধিপত্য কায়েম করেন অধীরবাবু। ১৯৯৯, ২০০৪ এবং ২০০৯ সালে জিতেছেন লোকসভা ভোটে। গতবার জিতেছিলেন ১,৮৬,৯৭৭ ভোটে। এবার তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ইন্দ্রনীল সেন। গাইয়ে ইন্দ্রনীল সেন তাঁর জনপ্রিয়তাকে কতটা কাজে লাগাতে পারেন, সেটাই দেখতে হবে। বামফ্রন্ট এখানে প্রার্থী করেছে প্রমথেশ মুখোপাধ্যায়কে।
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
২১.১৯
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৪০.৭০
শতাংশ।
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়েছে
৫১.৭২
শতাংশ।
বিকেল
তিন
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৬৪.৪০
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৭৭.০১
শতাংশ।
কৃষ্ণনগর
লড়াইটা এখানে ত্রিমুখী। তৃণমূল কংগ্রেসের তাপস পাল, সিপিএমের শান্তনু ঝা এবং বিজেপি-র সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় ওরফে জলুবাবু। ২০০৯ সালে মমতা-হাওয়ায় এখান থেকে ৭৭,৩৮৬ ভোটে জিতেছিলেন তাপসবাবু। অভিনয় জীবনের পাশাপাশি নতুন জীবন শুরু হয়েছিল। তাঁর দাবি, গত পাঁচ বছরে এলাকার উন্নয়নে প্রচুর খরচ করেছেন। অন্যদিকে, সিপিএমের মতে, কোনও কাজই করেননি তাপস পাল। পাশাপাশি, গত তিন বছরে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ ধূমায়িত হয়েছে। এর প্রতিফলন ঘটবে ইভিএমে। আর বাংলা থেকে যে ক'টি আসন জিতবে বলে মনে করছে বিজেপি, তার একটি এই কৃষ্ণনগর। ১৯৯৯ সালে এখান থেকে জিতে কেন্দ্রে মন্ত্রী হয়েছিলেন আইনজীবী জলুবাবু। ২০০৯ সালে ভোট পেয়েছিলেন দেড় লাখেরও বেশি!
এখানকার দফরপোঁতা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সকালেই বের করে দেওয়া হয় সিপিএম এজেন্টকে। কিন্তু প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে থাকা কাগজে লেখা রয়েছে "ভোট শেষের পর সন্ধে ছ'টায় তিনি বুথ ছেড়েছেন।" এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বিরোধীরা।
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
২১.২৯
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৪১.৪০
শতাংশ।
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়েছে
৫৭.৩৭
শতাংশ।
বিকেল
তিন
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৬৯.৩০
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৮১.৪০
শতাংশ।
রাণাঘাট
একদা বাম দুর্গ রাণাঘাট থেকে গতবার জেতেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুচারুরঞ্জন হালদার, ১,০১,৮২৩ ভোটে। এবার অবশ্য দল তাঁর বদলে প্রার্থী করেছে নবাগত সৌগত বর্মনকে। প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন সিপিএমের অর্চনা বিশ্বাস। লড়াইটা এখানে স্পষ্টত দ্বিমুখী।
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
২১.৩৬
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৪০.৪০
শতাংশ।
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়েছে
৫৫.৫০
শতাংশ।
বিকেল
তিন
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৭০.৯০
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৮১.২৫
শতাংশ।
বনগাঁ
২০০৯ সালে এই আসন থেকে জিতেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের গোবিন্দচন্দ্র নস্কর। তিনি জেতেন ৯২,৮২৬ ভোটে। এবার এখানে দলের প্রার্থী মতুয়া সম্প্রদায়ের কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর। আসলে এখানে বিপুল পরিমাণ মতুয়ার বসবাস। সেই ভোটটা পুরোটা টানতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে টিকিট দিয়েছেন। কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের ভাই মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর এখন রাজ্যের মন্ত্রী। কপিলকৃষ্ণবাবুর বিরুদ্ধে লড়ছেন সিপিএমের দেবেশ দাশ।
এখানকার গয়েশপুর এলাকায় ভোটারদের শাসক দলের তরফে বলা হয়েছে, "ভোট দিতে গেলে রাতে এসে দেখে নেব।" বিষয়টি জানানো হয় পুলিশকে।
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
১৯.২৬
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৩৮
শতাংশ।
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়েছে
৫৮.৩০
শতাংশ।
বিকেল
তিন
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৬৭.৭৮
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৮১.৮৫
শতাংশ।
বারাকপুর
বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে এক সময় শেষ কথা ছিলেন সিপিএমের তড়িৎবরণ তোপদার। তিনি যে কখনও ভোটে হারতে পারেন, এটা কেউ কল্পনাও করতে পারত না। কিন্তু সেই অসম্ভব সম্ভব করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের দীনেশ ত্রিবেদী। ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি তড়িৎবাবুকে হারিয়েছিলেন ৫৬,০২৪ ভোটে। এবারও তিনিই প্রার্থী। বিপরীতে রয়েছেন সিপিএমের সুভাষিণী আলি। 'বহিরাগত' সুভাষিণী আলি এখানে কতটা সুবিধা করতে পারবেন, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
অভিযোগ উঠেছে, বীজপুর ও ভাটপাড়ার অনেকগুলি বুথে বিরোধী এজেন্টদের ঢুকতেই দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন। ভোট কমিশনকে জানানো হলেও তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। বারাকপুর লোকসভা আসনের অন্তর্গত ঘোলা নাটাগড়ের উপলদা হাইস্কুলের ৫২ নম্বর বুথে এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলার ওপর হামলা চালায় শাসক দলের লোকজন। তাঁর 'অপরাধ', তিনি ফতোয়া অমান্য করে ভোট দিতে এসেছিলেন। আক্রান্ত মহিলার নাম সোমা সরকার। অসহ্য পেটের যন্ত্রণা নিয়ে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
১৯.২৮
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৪৩
শতাংশ।
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়েছে
৫৮
শতাংশ।
বিকেল
তিন
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৬৮.২২
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৭২.৭০
শতাংশ।
দমদম
খুবই ওজনদার আসন। লড়াইটা এখানে ত্রিমুখী। তৃণমূল কংগ্রেসের সৌগত রায়, সিপিএমের অসীম দাশগুপ্ত এবং বিজেপি-র তপন শিকদার। ২০০৯ সালে সৌগতবাবু জিতেছিলেন মাত্র ২০,৪৭৮ ভোটে। ফলে এবার তিনি যে হড়কে যাবেন না, এটা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। বিশেষত ১৯৯৮ এবং ১৯৯৯ সালে এখান থেকে জিতেছিলেন তপন শিকদার। তখন অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি-র জোট ছিল। এবার তিনি মোদী-হাওয়া কতটা নিজের পালে টানতে পারেন, দেখতে হবে। আর অসীম দাশগুপ্তকে কে না চেনে! বাম আমলে দীর্ঘদিন অর্থমন্ত্রী ছিলেন। অসীমবাবুর পুঁজি হল, পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তি। জিতলে জীবনে প্রথমবার লোকসভা যাবেন তিনি।
খড়দহের সন্তোষ বিদ্যালয়ে বুথ দখল করে নেয় শাসক দল। ভোটারদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অবাধে চলেছে প্রক্সি ভোট। বরাহনগরের কুঠিঘাটের কাছে ভিক্টোরিয়া স্কুলে বুথ জ্যামের ঘটনা ঘটেছে। কাঠগড়ায় সেই তৃণমূল কংগ্রেস। দমদমের ১০১ এবং ১০৩ নম্বর বুথে বসতে দেওয়া হয়নি সিপিএম ও বিজেপি-র এজেন্টদের। এই লোকসভা আসনের কংগ্রেস প্রার্থী শক্তি মৈত্রকেও এদিন নিগ্রহ করা হয়েছে। অভিযুক্ত সেই শাসকদল।
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
২১.১৯
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৩৯
শতাংশ।
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়েছে
৫৩
শতাংশ।
বিকেল
তিন
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৬৭.১১
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৭৩.৭২
শতাংশ।
বারাসত
লড়াইটা প্রথমে দ্বিমুখীই ছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের কাকলি ঘোষদস্তিদার এবং ফরওয়ার্ড ব্লকের মোর্তাজা হোসেন। মাঝখান থেকে হঠাৎ হাওয়া কেড়ে নিলেন বিজেপি প্রার্থী তথা জাদুকর পি সি সরকার জুনিয়র। নরেন্দ্র মোদী এখানে এসে জনসভা করে যাওয়ার পর বিজেপি-র পাল্লা বেশ ভারী। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে কাকলি ঘোষদস্তিদার জিতেছিলেন ১,২২,৯০১ ভোটে।
রিগিংয়ের প্রতিবাদ করায় দত্তপুকুরে এক এসএফআই কর্মীকে গরম তেলের কড়াইতে ফেলে দেওয়া হল। আক্রান্ত ব্যক্তির নাম চন্দন দাশ। অভিযোগ সেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। এদিকে, বিধাননগরে নিগৃহীত হলেন পি সি সরকার জুনিয়র। কেমন ভোট হচ্ছে, দেখতে তিনি বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় বিধাননগর পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিহির চক্রবর্তী দলবল নিয়ে তাঁর ওপর চড়াও হন। তিনি ভোটারদের প্রভাবিত করছেন, এই অভিযোগ তুলে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করা হয়। এমনকী, পি সি সরকারকে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা ধাক্কাধাক্কি করেন। পুলিশ এসে অবস্থা আয়ত্তে আনে। বিজেপি-র দাবি, মিহিরবাবুই কিছু বুথে রিগিং করছিলেন। সেই খবর জানাজানি হয়ে যেতে পারে, এটা বুঝেই পি সি সরকারকে হেনস্থা করা হয়।
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
১৮.৮৪
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৩৮.১০
শতাংশ।
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়েছে
৫৬.৯০
শতাংশ।
বিকেল
তিন
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৭১.০৮
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৭৯.৯০
শতাংশ।
বসিরহাট
গতবার জেতেন তৃণমূল কংগ্রেসের হাজি নুরুল ইসলাম। ৬০,৩৮৩ ভোটে। এবার এখান থেকে দল প্রার্থী করেছে ইদ্রিশ আলিকে। বিপরীতে সিপিএমের নুরুল হুদা। এখানে একটা বড় অংশই হল সংখ্যালঘু ভোট। যারা এটা টানতে পারবে, শেষ হাসি তারাই হাসবে।
শাসনের কীর্তিপুরের বিভিন্ন বুথে বিরোধী দলের সমর্থক বলে পরিচিত কয়েকজন ভোটারকে জোর করে বের করে দেয় তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগ বামেদের। তবে সবচেয়ে বড় ঘটনাটি ঘটেছে হাড়োয়ায়। এখানকার ব্রাহ্মণচক গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের হামলায় জখম হয়েছেন অন্তত ২০ জন। এঁদের মধ্যে চারজনকে গুলি করা হয়েছে। বাকি ১৬ জনকে কোপানো হয়েছে ভোজালি দিয়ে। প্রত্যেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
হাড়োয়ারই নারায়ণপুরে ৩৫ জন ভোটারকে একটি ঘরে আটকে রাখে শাসক দলের গুন্ডারা। কেন তারা ভোট দিতে বেরিয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয়। প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। খবর পেয়ে নির্বাচন কমিশনের পর্যবেক্ষক রাজেশ নুরিয়ান পুলিশ নিয়ে গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। এঁরা এতই সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন যে, আর ভোট দিতে চাননি।
আরও
পড়ুন:
হাড়োয়ায়
সংঘর্ষ,
গুরুতর
জখম
২০,
কাঠগড়ায়
তৃণমূল
কংগ্রেস
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
২০.৩৮
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৪৪
শতাংশ।
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়েছে
৫৫.৮০
শতাংশ।
বিকেল
তিন
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৬৯.৪৭
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৮০.১৪
শতাংশ।
জয়নগর
পশ্চিমবঙ্গে এসইউসিআই দলের একমাত্র শক্ত ঘাঁটি। এই দলের তরুণ মণ্ডল গতবার জিতেছিলেন ৫৩,৭০৫ ভোটে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আরএসপি-র নিমাই বর্মনকে হারিয়েছিলেন। এবারও তিনি ভোটে লড়ছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী আরএসপি-র সুভাষ নস্কর। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী করেছে প্রতিমা নস্করকে।
জীবনতলার মৌখালি হাইস্কুলের ২২৫ এবং ২২৬ নম্বর বুথে যথাক্রমে দুই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ফারাক মোল্লা এবং ঘেঁটু মল্লিক ইভিএমের পাশে দাঁড়িয়ে থেকে ভোটারদের নির্দেশ দেন জোড়াফুলে ভোট দেওয়ার। যারা আদেশ মানতে ইতস্তত করছিলেন, তাদের আঙুল চেপে ধরে জোড়াফুলে ভোট দিতে বাধ্য করা হয়। পরে নির্বাচন কমিশন এদের বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দেয়।
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
১৯.০৬
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৩৯.৬০
শতাংশ।
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়েছে
৫৪.২০
শতাংশ।
বিকেল
তিন
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৬৪
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৭৮.১৫
শতাংশ।
মথুরাপুর
এখানে লড়াইটা দ্বিমুখী। তৃণমূল কংগ্রেসের চৌধুরী মোহন জাটুয়া বনাম বামফ্রন্টের রিঙ্কু নস্কর। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে চৌধুরী মোহন জাটুয়া জিতেছিলেন ১,২৯,৯৬৩ ভোটে।
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
২০
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
(পাওয়া
যায়নি)
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়েছে
৫৬
শতাংশ।
বিকেল
তিন
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৬৮
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৭৮.২০
শতাংশ।
ডায়মন্ড হারবার
গতবার এখান থেকে ১,৫১,৬৮৯ ভোটে জিতে লোকসভায় গিয়েছিলেন সোমেন মিত্র। তখন তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে লড়েছিলেন তিনি। সোমেনবাবু বিদ্রোহ করে দল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। ফলে এবার এখানে দলের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিপরীতে রয়েছেন সিপিএমের আবুল হাসনত।
এই আসনের অন্তর্গত বিষ্ণুপুরের ১০৭, ১০৮, ১২৩, ২১৪ এবং ২১৫ নম্বর বুথগুলি তৃণমূল কংগ্রেস দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ এখানে দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
২১.২৯
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৩৮
শতাংশ।
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়েছে
৫৬.১০
শতাংশ।
বিকেল
তিন
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৬৫.৯৪
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৭৬.৫০
শতাংশ।
যাদবপুর
ধারে ও ভারে নজরকাড়া আসন। লড়াইটা এখানে ত্রিমুখী। তৃণমূল কংগ্রেসের সুগত বসু, সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী এবং কংগ্রেসের সমীর আইচ। গতবার তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন গায়ক কবীর সুমন, যদিও ব্যবধান দারুণ কিছু ছিল না। তিনি সুজনবাবুকে হারান ৫৬,২৬৭ ভোটে। এবার এখানে শাসক দলের পক্ষে লড়াইটা কঠিন। একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুণগান গাওয়া সমীরবাবু কিছুটা ভোট কাটবেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপি-র প্রার্থী স্বরূপপ্রসাদ ঘোষ। তবে তিনি কোনও ফ্যাক্টর নন।
ভাঙড়ের তালদীঘি গ্রামে সকালে তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডাবাহিনী ব্যাপক বোমাবাজি করে বলে অভিযোগ করেছেন সিপিএম প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী। ১৫৫ নম্বর বুথে সিপিএম এজেন্ট সৈফুদ্দিনকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এ ছাড়া, এই লোকসভা আসনের অন্তর্গত উত্তর রাজাপুর, চালতাবেড়িয়া, চক্রবিড়ালিতে তৃণমূল কংগ্রেস বুথ জ্যাম করেছে বলে অভিযোগ। ভোটারদের ভয় দেখাতে রাস্তায় ঘুরেছে শাসক দলের বাইকবাহিনী।
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
১৮
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৪১
শতাংশ।
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়েছে
৫৪.০৮
শতাংশ।
বিকেল
তিন
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৬৪.২৮
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৭৩.৫০
শতাংশ।
কলকাতা দক্ষিণ
এখানেও লড়াইটা দ্বিমুখী হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের সুব্রত বক্সি বনাম সিপিএমের নন্দিনী মুখোপাধ্যায়। এটি আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ছিল। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ২০১১ সালের ডিসেম্বরে লোকসভা উপনির্বাচনে ২৩০,৯৯৯ ভোটের ব্যবধানে জেতেন সুব্রতবাবু। এবারও জিতবেন বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। এখানে কংগ্রেস প্রার্থী করেছে মালা রায়কে আর বিজেপি তথাগত রায়কে।
বড়িশা পূর্বপাড়ায় একটি বুথে তৃণমূল কংগ্রেস রিগিং চালাচ্ছে, এই অভিযোগ পেয়ে সেখানে যান নন্দিনী মুখোপাধ্যায়। তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করা হয় এবং শারীরিকভাবে নিগ্রহ করার হুমকি দেওয়া হয়। পুলিশকে বলেও কিছু হয়নি বলে অভিযোগ।
কুঁদঘাটের আদর্শ বিদ্যালয়ে কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী ইভিএম দখল করে প্রক্সি ভোট দিচ্ছিল। এক পুলিশকর্মী বাধা দেন। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কসবাতে সিপিএমের পার্টি অফিসে তৃণমূল কংগ্রেস প্রচুর লোকজন নিয়ে এসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনায় অন্তত ছ'জন জখম হয়েছেন।
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
১৭
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৩৫.৬০
শতাংশ।
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়েছে
৪৮.৭০
শতাংশ।
বিকেল
তিন
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৫৬.৬০
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৬৫.৯০
শতাংশ।
কলকাতা উত্তর
২০০৯
সালে
এখানে
জিতেছিলেন
সুদীপ
বন্দ্যোপাধ্যায়,
১,০৯,২৭৮
ভোটে।
তার
আগে
১৯৯৮
এবং
১৯৯৯
সালের
লোকসভা
ভোটে
জেতেন
তিনি।
এবার
সুদীপ
বন্দ্যোপাধ্যাকে
তিনজন
হেভিওয়েট
প্রার্থীর
মোকাবিলা
করতে
হচ্ছে।
সিপিএমের
রূপা
বাগচী,
কংগ্রেসের
সোমেন
মিত্র
এবং
বিজেপি-র
রাহুল
সিনহা।
উত্তর
কলকাতার
বিস্তীর্ণ
অঞ্চলে
'ছোড়দা'
সোমেন
মিত্রর
প্রভাব
যথেষ্ট।
আর
মোদী-হাওয়ায়
নিজের
জায়গা
শক্তপোক্ত
করে
নিয়েছে
রাহুল
সিনহা।
এখানে
বিপুল
সংখ্যক
হিন্দিভাষী
ভোটার
রয়েছেন।
তাঁদের
ভোটের
একটা
বড়
অংশ
এবার
বিজেপি
পাবে
বলে
মনে
করা
হচ্ছে।
নারকেলডাঙ্গা হাইস্কুল ও বেলেঘাটার সুকান্ত কলোনি পুর বিদ্যালয়ে বুথ দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। এই ঘটনার ছবি যাতে সংবাদমাধ্যম তুলতে না পারে, সেই জন্য কিছু সমর্থক বুথমুখী রাস্তাও আটকে রাখে।
কলকাতা পুরসভায় বিজেপি-র প্রাক্তন ডেপুটি মেয়র মীনাদেবী পুরোহিতকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। যদিও বোমা না ফাটায় তিনি বেঁচে যান। ঘটনাটি ঘটেছে বড়বাজারে। বিকেল পাঁচটা নাগাদ পোস্তার কালীকৃষ্ণ ঠাকুর স্ট্রিটে ফের বোমা মারে তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা। লক্ষ্য ছিল কয়েকজন সিপিএম কর্মী। কিন্তু জখম হন এক অটোচালক। তাঁকে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সন্ধেয় বাগবাজারে সিপিএমের জোনাল কমিটির অফিসে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়। অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনায় দুই সিপিএম কর্মী জখম হয়েছেন।
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
১৭
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৩১
শতাংশ।
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়েছে
৪৯.০৮
শতাংশ।
বিকেল
তিন
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৫৭.০১
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৬০.০৯
শতাংশ।
তমলুক
একদা এখানকার 'মুকুটহীন সম্রাট' ছিলেন সিপিএমের লক্ষ্মণ শেঠ। কিন্তু ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলি চালনার পর থেকে ছবিটা বদলে যায়। ২০০৯ সালে লোকসভা ভোটে জেতেন তৃণমূল কংগ্রেসের শুভেন্দু অধিকারী, ১,৭২,৯৫৮ ভোটে। এবারও তিনিই দলের প্রার্থী। প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন সিপিএমের শেখ ইব্রাহিম আলি। লক্ষ্মণ শেঠের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ায় তাঁর অনুগামীরা এখানে সিপিএমের কতটা ক্ষতি করে, সেটা নজর রাখতে হবে।
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
২৪
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৪৯
শতাংশ।
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়েছে
৬৪.২৯
শতাংশ।
বিকেল
তিন
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৭৪.৬০
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৮৫.৭০
শতাংশ।
কাঁথি
তমলুকে ছেলে শুভেন্দু অধিকারী, আর কাঁথিতে বাবা শিশির অধিকারী। গতবার শিশিরবাবু জিতেছিলেন ১,২৯,১০৩ ভোটে। এবার তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএমের তাপস সিংহ। তাপসবাবুর দাবি, সারদা কেলেঙ্কারিতে এখানকার অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তাঁরা সিপিএমকে ভোট দেবেন। ফলে এখানে আবার লাল ঝান্ডা উড়বে।
এই কেন্দ্রের কালিন্দী এলাকায় দুপুরে একদল তৃণমূল কর্মী বুথে বুথে ঘুরে ভোটারদের বলছিলেন, জোড়াফুলে ভোট দিতে। এক বিএসএফ জওয়ান এগিয়ে এসে তাঁদের পথ আটকান। প্রথমে বচসা হয়। তার পর ছুরি বের করে ওই জওয়ানকে আঘাত করা হয়। গুরুতর জখম অবস্থায় তিনি কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি।
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
২২
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৪৫
শতাংশ।
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়েছে
৬১
শতাংশ।
বিকেল
তিন
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৭১.১৫
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৮২.৭০
শতাংশ।
ঘাটাল
আরও একটি ওজনদার আসন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বাংলা সিনেমার হার্টথ্রব দেব ওরফে দীপক অধিকারী। বিপক্ষে রয়েছেন সিপিআইয়ের সন্তোষ রানা এবং কংগ্রেসের মানস ভুঁইঞা। ঐতিহ্যগতভাবে এটা বাম দুর্গ। ২০০৯ সালে গুরুদাস দাশগুপ্ত জিতেছিলেন ১,৪৭,০১৮ ভোটে। বাংলা সিনেমার 'পাগলু' এখানে ঘাসফুল ফোটাবে, এই আশায় বুক বেঁধেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সবংয়ের একটি বুথ থেকে সিপিআই এজেন্টকে অপহরণের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। ওই ব্যক্তির নাম ধনঞ্জয় মিত্র। তাঁর খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। পাশাপাশি, পিংলার ২০৯ এবং ২১১ নম্বর বুথে ভোটারদের ঢুকতে না দিয়ে প্রক্সি ভোট দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। পিংলারই ৮ নম্বর অঞ্চলের ২৩৩ নম্বর বুথে বাম এজেন্টকে পরিচয়পত্র কেড়ে নিয়ে মেরে বের করে দেওযা হয়েছে।
সকাল
ন'টা
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
২২
শতাংশ।
সকাল
এগারোটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৪৮.৮০
শতাংশ।
দুপুর
একটা
পর্যন্ত
ভোট
পড়েছে
৬২.৮০
শতাংশ।
বিকেল
তিন
পর্যন্ত
ভোট
পড়ল
৭১.৩০
শতাংশ।
বিকেল
পাঁচটা
পর্যন্ত
ভোটের
হার
৮১.৩০
শতাংশ।