মুকুলে অনাস্থা, জঙ্গলমহলে পাল্টা ভাঙন বিজেপিতে! তৃণমূলে যোগ পাঁচ শতাধিক কর্মীর
একদিন আগেই মুকুল রায়ের মঞ্চে দলে দলে তৃণমূল কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিল। এরপর মুকুল রায়ের বাক্যবাণে অসন্তুষ্ট হয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন পাঁচ শতাধিক কর্মী।
একদিন আগেই মুকুল রায়ের মঞ্চে দলে দলে তৃণমূল কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিল। বিজেপির বাড়বাড়ন্তে উৎসাহিত হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করেন মুকুল রায়। এমনকী তিনি রেয়াত করেননি তাঁর এক সময়ের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরপর মুকুল রায়ের বাক্যবাণে অসন্তুষ্ট হয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন পাঁচ শতাধিক কর্মী।
[আরও পড়ুন:বামেরা দলে দলে 'রামে'র দলে, ভাঙছে তৃণমূলও, বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক চলছে]
দল ছেড়ে কর্মীদের দাবি, একজন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নিন্দনীয় মন্তব্য ও কুৎসার প্রতিবাদেই এই দলবদল। রবিবার বিজেপির কিষাণসভার মঞ্চে দাঁড়িয়ে যে ভাষায় মুকুল রায় আক্রমণ করেছিলেন, তা নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় বিজেপিরই একাংশে। সেই কারণেই তাঁরা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল যোগ দেন।
সোমবার ঝাড়গ্রাম কলেজ মাঠে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলন শুরু হয়। সেই সম্মেলনেই বিজেপি কর্মীরা উপস্থিত হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। উপস্থিতি ছিলেন মন্ত্রী চূড়ামণি মাহাতো, বিধায়ক সুকুমার হাঁসদা প্রমুখ।
এদিন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়ে দলত্যাগী বীরেন মান্ডি, উমাকান্ত সিং, শিপ্রা বিশ্বাস-রা তৃণমূলে যোগ দিয়ে মুকুল রায়কে নিশানা করেন। তাঁরা বলেন, 'মুকুল রায় দলত্যাগ করে প্রাক্তন দল ও দলনেত্রীর বিরুদ্ধে যে ভাষায় আক্রমণ করছে, তা নিন্দনীয়। আমরা তাকে সমর্থ করি না' আমরা মনে করি, একজন রাজনৈতিক নেতার আরও সহনশীল হওয়া দরকার। সেই কারণেই ওই দলে না থেকে আমরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।'