তৃণমূল কর্মীর খুনে বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান সহ পাঁচজনকে সমন দায়রা আদালতের
বনগাঁর এক তৃণমূল কর্মীর খুনের ঘটনায় বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য, ১৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অভিজিৎ কাপুরিয়া সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সমন পাঠাল কলকাতা নগর দায়রা আদালত।
বনগাঁর এক তৃণমূল কর্মীর খুনের ঘটনায় বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য, ১৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অভিজিৎ কাপুরিয়া সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সমন পাঠাল কলকাতা নগর দায়রা আদালত। পুজোর ছুটির পর ৭ নভেম্বর অভিযুক্তদের আদালতে স্বশরীরে হাজির হতে হবে বলে জানান নগর দায়রা আদালতের বিচারক শঙ্করমণি ত্রিপাঠী।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ বনগাঁর খুন হন তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী হিমাংশু বৈরাগী। হিমাংশুর পরিবারের দাবি, বনগাঁ পুরসভার তৎকালীন ১৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শম্ভু দাসের সঙ্গে কাজ করত তাদের ছেলে হিমাংশু। সেই সময় তৃণমূলের গোষঠীদ্বন্দ্বের জেরে তাদের ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে নৃশংস ভাবে গুলি করে খুন করা হয়। এমনকি বনগাঁর থানায় এফআইআর করতে গেলেও প্রথমে পুলিশ তাদের ফিরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ পরিবারের।
মামালাকারির আইনজীবিরা জানান, 'এই ঘটনায় অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থও হয়েছিল মৃতের পরিবার কিন্তু কোনও সুরাহা না হওয়ায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মৃতের বাবা অভিজিৎ বৈরাগী। সেই মামলায় হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি নাদিরা পথেরিয়া এই ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হতে তুলে দেন।'
সরকারি কৌঁসুলি অশোক বক্সি জানান, 'প্রভাবশালীদের প্রভাবে এই ঘটনায় নিম্ন আদালতে চলা মূল মামলা প্রভাবিত হচ্ছিল। সাক্ষ্যদের ভয় দেখিয়েও তদন্ত প্রভাবিত করছিল প্রভাবশালীরা। এমনকি প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে সাক্ষী দেওয়ায় মামালাকারীদের ১০ হাজার টাকা জরিমানাও করে নিম্ন আদালত। এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এজলাসে মামলা করেন মামালাকারীরা।
অশোক বাবু আরও জানান, বিচারপতি বাগচী বনগাঁ আদালত থেকে মূল মামলা কলকাতা নগর দায়রা আদালতে স্থানান্তরিত করনের নির্দেশ দেন। এবং মামলায় পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে তাঁকে (অশোক বক্সি) নিয়োগ করে দেন বিচারপতি। মামলা শুরু হয় নগর দায়রা আদালতে। সেই মামলাতেই এই নির্দেশ দেন বিচারক।