চতুর্থ দফা শান্তিপূর্ণই জানাল কমিশন, ইসি-র ভূমিকায় অসন্তুষ্ট বিরোধীরা
বুধবারের ভোটপর্ব নিয়ে সন্তুষ্টির কথা জানান উপ-নির্বাচন কমিশনার বিনোদ জুত্সি। তাঁর দাবি, রাজ্যে বুথ দখলের কোনও অভিযোগ নেই, এমনকী রাজ্যে কোনও কারচুপিরও অভিযোগ আসেনি কমিশনে।
জুৎসি যাই বলুন না কেন তার সঙ্গে একেবারেই সহমত নয় রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছে বিরোধী দলগুলি। শাসকদলের লোকজন রাজ্যে বেশ কয়েকটি বুথ দখল করেছিল বলে অভিযোগ সিপিএমের। মারধর করা হয়েছে বেশ কয়েকটি বুথের সিপিএম এজেন্টকে। এই অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের কাছে এদিন অভিযোগ দায়ের করেন সীতারাম ইয়েচুরি। যদিও সুর্যকান্ত মিশ্র জানিয়েছেন, শাসকদলের বাধা সত্ত্বেও বুধবার ভোট দিয়েছেন মানুষ। মানুষই নির্বাচনে নির্ণায়ক ভূমিকা নেবে।
সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে সুর মিলিয়ে চতুর্থ দফার ভোট শান্তিপূর্ণ ও অবাধ হয়নি বলে অভিযোগ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি। তাঁর অভিযোগ, সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েও কথা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ভোট নিয়ে খুশি নন আসানসোলের বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়। তারকা প্রার্থী হওয়ায় এদিন তাঁর নিরাপত্তা জোরদার করে কমিশন। ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে তিন জন রক্ষী এবং একজন ভিডিওগ্রাফার নিয়োগ করা হয়। তবে দিনের শেষে শাসকদলের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ আনেন বাবুলও।
শুধু শাসকদলের বিরুদ্ধে রিগিং বা বুথ দখলের অভিযোগই নয়, বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি বা ভূমিকা নিয়েও। বিরোধী দলগুলির একাংশের দাবি, প্রথম তিন দফায় কেন্দ্রী. বাহিনীর প্রায় অর্ধেকের বেশি জায়গাতে দেখাই মেলেনি। ফলে ভোটের সন্ত্রাস হয়েছে চরম। যদিও নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছিল পর্যাপ্ত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। তবে বিরোধীদের দাবী, এদিনও চিত্রটা অনেকটা এখইরকম ছিল। অনেক ভোটকেন্দ্রেই কেন্দ্রী. বাহিনীর দেখা মেলেনি। যে সব কেন্দ্রে হিংসার ঘটনা ঘটেছে, তার কয়েকটিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকলেও তারা নীরব দর্শকেরই ভূমিকায় ছিল।
উল্লেখ্য তিন বছর পর বেনাচাপড়ায় ফিরলেন কঙ্কাল কাণ্ডের নায়ক, সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ। বুধবার সকালে ভোট দেন তিনি।