একদিনে বিজেপিতে যোগ দিয়েছে ৪০ হাজার মানুষ! দাবি রাহুল সিনহার
গতকাল পশ্চিম মেদিনীপুর সফরে গিয়েছিলেন রাহুল সিনহা। লোধাশুলি, গোপীবল্লভপুর, নয়াগ্রাম ও মাতকাতপুরে জনসভা করেন তিনি। সব সভাতেই ভিড় হয়েছিল প্রচুর। রাহুলবাবুর ভাষণ শুনতে যেমন মানুষ এসেছিলেন, তেমনই অন্য রাজনীতিক দলের নেতা-কর্মীরা এসেছিলেন বিজেপিতে যোগ দিতে। সিপিএম, কংগ্রেস, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা তো বটেই, এমনকী তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়েও অনেকে বিজেপিতে যোগ দেন। রাহুলবাবুর তাঁদের সাদরে বরণ করে নিয়ে বলেন, "মেদিনীপুরের মাটি থেকে বাংলায় একটা পরিবর্তনের সূচনা হয়েছিল। সেই মেদিনীপুরের মাটিতেই এ বার আসল পরিবর্তনের সূচনা হল।" তাঁর দাবি, চারটি জায়গায় অন্তত ৪০ হাজার মানুষ যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে।
তবে দল বদলের এই ঘটনায় সবচেয়ে বড় চমক অন্তরা ভট্টাচার্য। সিপিএমের হেভিওয়েট অন্তরাদেবী ২০০৮ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সভাধিপতি ছিলেন। তার আগে ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত ছিলেন পিংলা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। স্থানীয় সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটের পর থেকে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা শুরু করে শাসক দলের লোকজন। অন্তরাদেবী রাজ্য নেতৃত্বকে তা বারবার জানালেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই তিনি ক্ষুব্ধ হন। সিপিএমের জেলা নেতারা অবশ্য তাঁকে শেষ মুহূর্তেও নিরস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।
অন্তরা ভট্টাচার্য ছাড়াও উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি যাঁরা বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা হলেন পিংলার কংগ্রেস নেতা গৌড় ঘোড়ই, ফরওয়ার্ড ব্লকের যুগ সংগঠন যুব লীগের জেলা সভাপতি আশিস চট্টোপাধ্যায়, মেদিনীপুর পুরসভার প্রাক্তন উপ-প্রধান তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা গণেশ ভকত, সিপিআই নেতা অশোক সেনাপতি, গোপীবল্লভপুর-২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সুকুমার বাগ, ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা বুদ্ধেশ্বর মাহাতো প্রমুখ। উচ্ছ্বসিত রাহুলবাবু বলেছেন, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে শাসক দলকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়বে না বিজেপি।