রাজ্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, ইমাম ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে পথে ৪০ মুসলিম সংগঠন
ফের ইমাম ও মোয়াজ্জেন ভাতা বৃদ্ধির দাবি উঠে গেল। আগামী ৮ নভেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে এই দাবিতে পথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৪০টিরও বেশি মুসলিম সংগঠন।
কলকাতা, ২ নভেম্বর : ফের ইমাম ও মোয়াজ্জেন ভাতা বৃদ্ধির দাবি উঠে গেল। আগামী ৮ নভেম্বর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে এই দাবিতে পথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৪০টিরও বেশি মুসলিম সংগঠন। ক্ষমতার অলিন্দে থাকতেই রাজ্যে সংখ্যালঘু তোষণ চলছে বলে অভিযোগ।
সংখ্যালঘু ভোটের দিকে চেয়েই সংখ্যালঘুদের জন্য নানা প্রকল্প ঘোষণা করছে মমতার সরকার। হজে দুর্ঘটনায় মারা গেলে ১০ লক্ষ ক্ষতিপূরণ ঘোষণা হয়, অথচ শহিদ জওয়ানের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। টুইটে সমালোনার ঝড় ওঠে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংখ্যালঘু তোষণের সস্তা রাজনীতি নিয়ে সরব হয়েছে সব মহলই। এবার সংখ্যালঘু সংগঠনের মধ্যেও ক্ষোভের সঞ্চার হল।
২০১১-য় ক্ষমতায় আসার পরই ইমাম-মোয়াজ্জেনদের ভাতা চালু করেছিলেন। ২০১২ সালের এপ্রিলে ইমামদের জন্য মাসিক আড়াই হাজার টাকা ও মোয়াজ্জেনদের জন্য এক হাজার টাকা ভাতা চালু হয়েছিল। ২০১৬-য় বিধানসভা নির্বাচনের আগে 'নিজ ভূমি নিজ গৃহ' প্রকল্পে ইমাম ও মোয়াজ্জেনদের বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইমাম-মোয়াজ্জেনদের ভাতা চালু করায় সরকারকে ভর্ৎসনা করে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত জানায়, ধর্মনিরপক্ষ দেশে বিশেষ সম্প্রদায়কে ভাতা দেওয়া অসাংবিধানিক। এর পর ওয়াকফ বোর্ডের মাধ্যমে ওই টাকা বিলি শুরু করে রাজ্য সরকার। এরই মধ্যে ওই ভাতার পরিমাণে খুশি নন ইমাম-মোয়াজ্জেনরা। মুসলিম সংগঠনগুলির দাবি, ইমামদের মাসিক ভাতা ২০ হাজার টাকা ও মোয়াজ্জেনদের মাসিক ১০ হাজার টাকা দিতে হবে সরকারকে।
এই
দাবিতে
৮
নভেম্বর
কলকাতায়
সমাবেশের
ডাক
দিয়েছে
তারা।
সেইসঙ্গে
তাঁদের
অভিযোগ,
'নিজ
ভূমি
নিজ
গৃহ'
প্রকল্পে
এখনও
পর্যন্ত
কেউ
ঘর
পাননি।
এদিকে
'অল
ইন্ডিয়া
মুসলিম
পার্সোনাল
ল
বোর্ডে'র
২৫
তম
সম্মেলনের
জন্য
অনুমতি
দিল
না
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
সরকার৷
গত
১৮
নভেম্বর
থেকে
২০
নভেম্বর
পর্যন্ত
পার্কসার্কাস
ময়দানে
এই
সম্মেলন
হওয়ার
কথা
ছিল৷