আক্রান্ত চালক, গার্ড, শিয়ালদহের পর হাওড়ার বিভিন্ন শাখায় বাতিল মোট ২৮ টি ট্রেন
করোনার সংক্রমণের ধাক্কায় বেসামাল রাজ্য। ইতিমধ্যে ৮ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে সংক্রমণের হার। অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা। একদিকে ভোটমুখী বাংলা অন্যদিকে বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফের একবার পরিযায়ী শ্রমিকরাও ফের একবার আসতে শুর
করোনার সংক্রমণের ধাক্কায় বেসামাল রাজ্য। ইতিমধ্যে ৮ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে সংক্রমণের হার। অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা। একদিকে ভোটমুখী বাংলা অন্যদিকে বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফের একবার পরিযায়ী শ্রমিকরাও ফের একবার আসতে শুরু করেছে বাংলায়।
এই অবস্থায় বাংলায় সংক্রমণ আরও বাড়ার আশঙ্কা। করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে লোকাল ট্রেনেও। হাওড়া, শিয়ালদহ ডিভিশনে লোকাল ট্রেন পরিষেবাতে বেশ প্রভাব পড়েছে বলেই খবর।
হাওড়ার বিভিন্ন শাখায় বাতিল হল মোট ২৮ টি ট্রেন
গত কয়েকদিন ধরেই শিয়ালদহ শাখায় বাতিল হচ্ছিল একাধিক লোকাল। করোনার কারনেই বাতিল করা হচ্ছিল ট্রেনগুলি। এবার হাওড়ার বিভিন্ন শাখায় বাতিল হল মোট ২৮ টি ট্রেন। দ্রুতই কার্যকর হতে চলেছে এই সিদ্ধান্ত। এর আগে প্রায় ৫০ জন চালক, গার্ডের শরীরে ভাইরাস হানা দেওয়ায় সোমবার শিয়ালদহ শাখায় ২৯ টি ট্রেন বাতিল করার কথা ঘোষণা করেছিল রেল। এবার হাওড়া শাখাতেও একই পরিস্থিতি। দৈনিক ট্রেন কমে যাওয়ার ফলে নিত্যযাত্রীরা চিন্তায় পড়লেন। তবে মহামারীর সংকটে রেলের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন তাঁরা।
বন্ধ হচ্ছে না প্যাসেঞ্জার ট্রেন
লাগাতার শিয়ালদহ ও হাওড়া শাখায় বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন বাতিল হওয়ায় যাত্রীমহলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। প্যাসেঞ্জার ট্রেন বন্ধ হয়ে যাবে, এমন গুজবও শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন মহলে। তবে রেলমন্ত্রক নিয়ে একটি টুইট করেছে। যেখানে যাত্রীদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। টুইটে জানানো হয়েছে, মহামারী পরিস্থিতিতে অযথা গুজব ছড়াবেন না, গুজবে কানও দেবেন না। প্যাসেঞ্জার ট্রেন কিংবা কোনও দূরপাল্লার ট্রেন বন্ধ হচ্ছে না। পরিষেবা স্বাভাবিকই থাকছে। তবে কনফার্ম টিকিট থাকলে তবেই ট্রেনে ওঠার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ ওয়েটিংয়ে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরা অযথা ঝুঁকি নিয়ে যাতে ট্রেনে সফর না করেন, সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের উদ্দেশে রেলমন্ত্রকের আরও বার্তা, স্টেশন চত্বরে শারীরিক দূরত্ব মেনে চলুন।
দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ও ভারত
গত কয়েকদিন ধরে কার্যত আড়াই লাখের উপর উঠতে শুরু করেছিল। গত কয়েকদিনে আক্রান্তের সংখ্যা দৈনিক হারে যেদিকে যেতে শুরু করেছিল , তাতে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। আড়াই লাখ দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছাপিয়ে হু হু করে করোনা বাড়তে থাকে ভারতে।যদি পর পর দিনের হিসাবে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দেখা যায়, তাহলে ১৭ এপ্রিল দৈনিক আক্রান্ত ছিল দেশে ২,৩৪,৬৯২ জন, ১৮ এপ্রিল আক্রান্তের সংখ্যা ছিল শেষ ২৪ ঘণ্টায় ২,৬১,৫০০ জন। ১৯ এপ্রিল আক্রান্ত ছিল ২,৭৩,৮১০ জন। এরপর আজ ২০ এপ্রিল দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২, ৫৯,১৭০ জন।
সুস্থতা ও মৃতের সংখ্যা
প্রসঙ্গত, শেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে সুস্থতার সংখ্যা ১,৫৪,৭৬১ জন ছিল। আর গত একদিনে মতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,৭৬১ জনে। প্রসঙ্গত, ১৯ এপ্রিল করোনার জেরে দেশে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৬১৯ জন। সেই জায়গা থেকে আজকের রিপোর্টে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যার বৃদ্ধি উদ্বেগে রাখছে ।
এক নজরে বাংলার করোনা সংক্রমণ
সোমবার বাংলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাফে বেড়ে সাড়ে আট হাজার ছুঁই ছুঁই। বাংলায় ৮৪২৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এদিন। কলকাতায় এদিন করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ২২১১। উত্তর ২৪ পরগনায় ১৮০১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কলকাতায় ও উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা গ্রাফ এক লাফে বেড়েছে অনেকটা। করোনায় শুধু কলকাতায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩২১৮ জন। আর উত্তর ২৪ পরগনায় মৃতের সংখ্যা ২৬০৩। এদিন পর্যন্ত কলকাতায় মোট করোনা আক্রান্ত ১৫৫২০৮। শুধু এদিনই কলকাতায় ২২১১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে ৩২১৮ জনের। এদিন মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়েছেন মোট ১৩৭২০১ জন। এখনও সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ১৪৭৮০ জন। এদিন কলকাতায় করোনা সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন ১১৯২ জন।