তৈরি হচ্ছে ২২টি নতুন পুরসভা, ঘোষণা রাজ্য সরকারের
পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে এই পুরসভাগুলি তৈরি হবে। এই ২২টি পুরসভা হল: তেহট্ট, চাঁচল, ক্যানিং, ফালাকাটা, কাকদ্বীপ, বেলদা, খাতরা, কোলাঘাট-মেচেদা, গাজোল, বুনিয়াদপুর, বালি পশ্চিম, আন্দুল, ডোমজুড়, বাগনান, বক্সিরহাট, ঠাকুরনগর, আমতা, আমতলা, ডোমকল, তারাপীঠ, মল্লারপুর ও ময়নাগুড়ি। খুব শীঘ্র পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু হবে। এ জন্য রাজ্য সরকার আলাদা করে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।
ওই কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পরই পুরসভাগুলি কাজ শুরু করবে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আগামী বছরের মাঝামাঝি পুরসভাগুলি কাজ শুরু করবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে ৩৯টি পুরসভাকে মিশিয়ে সাতটি কর্পোরেশন তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই অভূতপূর্ব সিদ্ধান্তের পিছনে রাজ্য সরকার যে যুক্তি দিয়েছে, তা হল ১০ লক্ষ বা তার বেশি জনসংখ্যার শহরকে বিভিন্ন প্রকল্পে অনুদান দেয় কেন্দ্রীয় সরকার, বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক। এখন পশ্চিমবঙ্গে এমন শহর দু'টি, কলকাতা ও আসানসোল। চন্দননগর, হাওড়া ও শিলিগুড়ি শহরে কর্পোরেশন থাকলেও এগুলির জনসংখ্যা ১০ লক্ষের কম। তাই ছোটো ছোটো পুরসভাগুলিকে যদি জুড়ে দিয়ে কর্পোরেশন তৈরি করা যায়, তা হলে বর্ধিত জনসংখ্যার বিষয়টি তুলে ধরে বেশি অর্থ জোগাড় করে আনা সম্ভব হবে। এর ফলে নাগরিক পরিষেবা উন্নততর করে তোলা সম্ভব হবে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, পুরভোটে হারবে জেনেই এ সব অজুহাতে ভোট বানচাল করতে চাইছে শাসক দল।