For Daily Alerts
একনজরে ২০১৩ কামদুনি গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনা
কলকাতা, ২৯ জানুয়ারি : ২০১৩ সালের ৭ জুন কামদুনিতে ২১ বছরের এক কলেজ ছাত্রীকে গণধর্ষণের পর নৃশংসভাবে খুন করা হয়। এই ঘটনায় অভিযোগ ছিল ৯ জনের বিরুদ্ধে। হেফাজতে থাকাকালীনই এদের মধ্যে এক অভিযুক্তের মৃত্যু হয়। বাকি ৮ জনের ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবার রায়দান করে আদালত। ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করলেও ২ জনকে তথ্য প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস করা হয়। আজ দোষীদের সাজা ঘোষণা করবে আদালত।
গণধর্ষণ ও খুন : কবে ঠিক কী ঘটেছিল
- ২০১৩ সালের ৭ জুন, কলেজ থেকে ফিরে বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করছিল ছাত্রীটি। সেদিন হাল্কা বৃষ্টি পড়ছিল, তাই ভাইয়ের আসতে দেরি হচ্ছিল।
- উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতের কামদুনি গ্রামের ঘটনা। দেরি দেখে গ্রামের দিকে একাই সে হাঁটা দেয়। দিনের আলো তখনও উজ্জ্বল।
- ফেরার পথে ৯ জন মদ্যপ অবস্থায় ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে একটি নির্জন জায়গায় পাঁচিল ঘেরা অংশে নিয়ে যায়।
- সেখানে ওই ছাত্রীকে গণধর্ষণ করার পর নৃসংশ ভাবে খুন করা হয়।
- পরের দিন অর্থাৎ ৮ জুন ছাত্রীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়।
আন্দোলনের চেহারা নেয় কামদুনি
- ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারের পর ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা দোষীদের শাস্তি চেয়ে আন্দোলনের পথে নামে।
- ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মধ্যে পড়েন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বসিরহাটের সাংসদ হাজি নুরুল ইসলাম।
- প্রতিবাদের ভাষা বারাসত থেকে বেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ে কলকাতাতেও। বিভিন্ন সমাজকর্মী, মহিলা সংগঠন আন্দোলনে পা মেলায়।
- বাংলা বুদ্ধিজীবী মহলের একটা বড় অংশ কলকাতায় এই আন্দোলনে যোগ দেন। এদের মধ্যে ছিলেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী তথা চিত্র পরিচালক অপর্ণা সেন, কবি শঙ্খ ঘোষ, অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও আরও অনেকে।
- ১৭ জুন কামদুনি গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
- গ্রামবাসীদের একাংশের ক্ষোভের মুখে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী।
- প্রতিবাদী টুম্পা কয়ালকে মাওবাদী তকমা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
- কামদুনির প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে সরে এল মৃতার পরিবার।
- তবুও আন্দোলন চালিয়ে গেল কামদুনি প্রতিবাদ মঞ্চ।
অভিযুক্ত ও আসামী
- কামদুনি কাণ্ডে অভিযোগ ছিল ৯ জনের বিরুদ্ধে। সাইফুল আলি, আনসার আলি, আমিরুল ইসলাম, ভোলা নস্কর, আমিন আলি, শেখ এমানুর ইসলাম ও গোপাল নস্কর।
- এদের সবাইকেই অক্টোবরের শেষ সপ্তাহের মধ্যে পুলিশ গ্রেফতার করে।
- এই ঘটনার মূল পাণ্ডা সাইফুল। যে নির্জন পাঁচিল ঘেরা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ছাত্রীর ধর্ষণ করা হয়েছিল, সেই জায়গার কেয়ারটেকার ছিল সাইফুল।
- ট্রায়ালের সময় হেফাজতে থাকাকালীন গোপাল নস্করের মৃত্যু হয়। তারপর অভিযুক্ত আটজন ট্রায়ালের মুখোমুখি হয়।
তদন্ত
- জনরোষের মুখে কামদুনি কাণ্ডে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
- গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনার ২২ দিন পর পেশ করা হয় প্রথম চার্জশিট।
- প্রথম চার্জশিটে নাম ছিল না তিন অভিযুক্ত রফিক, আমিন ও নুর আলির। উল্লেখ ছিল না ফরেন্সিক রিপোর্টেরও।
- কামদুনি কাণ্ডে অসম্পূর্ণ চার্জশিট দেওয়ায় আদালতে ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হল সিআইডিকে।
- এরপর দশদিনের মাথায় বারাসত আদালতে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করে সিআইডি।
- মামলা প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কায় আগস্ট মাসেই বারাসত আদালত থেকে কামদুনি মামলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার নগর দায়রা আদালতে।
- ২০১৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর শুরু হয় চার্জগঠনের প্রক্রিয়া।
- অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ডি (গণধর্ষণ), ৩০২ (খুন), ২০১ (তথ্য লোপাট) এবং ১২০ বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।
- ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর ট্রায়াল শেষ হয়।
- ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি : ৬ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। ২ জনকে তথ্য প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস করা হয়।
-
২০১৬
সালের
২৯
জানুয়ারি
:
৬
দোষীর
সাজা
ঘোষণা
করে
আদালত।
Comments
kamduni gang rape rape murder women west bengal accused guilty protest mamata banerjee কামদুনি গণধর্ষণ ধর্ষণ খুন মহিলা পশ্চিমবঙ্গ অভিযুক্ত দোষী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
English summary
Six out of eight guilty in the gangrape and murder of a 20-year-old girl in 2013.Today their sentence will be delivered by session court.But what happend in between 2013 to 2016, the points are given here