হাড়োয়ায় হামলা, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ককে গ্রেফতারের নির্দেশ

গতকাল রাত থেকে তপ্ত হচ্ছিল হাড়োয়া। ভোররাত থেকে শুরু হয় তাণ্ডব। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া শুরু করে শাসক দলের লোকজন। বাম সমর্থক বলে পরিচিত কিছু লোক যখন সকালে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁদের ওপর চড়াও হয় তৃণমূল কংগ্রেসের মস্তানরা। অভিযোগ, হামলার নেতৃত্ব দেন মিনাখাঁর তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক উষারাণী মণ্ডল। আক্রান্তরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেও সফল হননি। এলোপাথাড়ি গুলি চলে। প্রাণ বাঁচাতে যে যেদিকে পারে, পালিয়ে যায়। যারা পালাতে পারেনি, তাদের ধরে ভোজালি আর চপার দিয়ে কোপ মারা হয়। খবর পেয়েও পুলিশ আসতে দেরি করে বলে অভিযোগ। পরে জখম ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ডেরেক ও'ব্রায়েন বলেছেন, সিপিএমের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান দীনবন্ধু মণ্ডল ওখানে গোলমাল পাকিয়েছেন। সিপিএমই দায়ী। তিনি বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের অন্তত ১১ জন কর্মী জখম হয়েছেন।
যদিও বিকেলে এলাকা ঘুরে দেখে তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে নিঃসন্দেহ হন নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক সুধীরকুমার রাকেশ। তিনি মিনাখাঁর বিধায়ক উষারাণী মণ্ডলকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন পুলিশকে। আপাতত বিধায়কের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দলের নেতা উদয়ন মণ্ডলের ছেলে শুভঙ্করকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
<blockquote class="twitter-tweet blockquote" lang="en"><p>WB : Clash between TMC-CPM workers in Haroa, injured admitted to hospital <a href="https://twitter.com/search?q=%23Elections2014&src=hash">#Elections2014</a> <a href="http://t.co/g8U10E1dVc">pic.twitter.com/g8U10E1dVc</a></p>— ANI (@ANI_news) <a href="https://twitter.com/ANI_news/statuses/465719527095816193">May 12, 2014</a></blockquote> <script async src="//platform.twitter.com/widgets.js" charset="utf-8"></script>আরও একটি ঘটনা ঘটে এই হাড়োয়ারই নারায়ণপুরে। ৩৫ জন ভোটারকে একটি অন্ধকার ঘরে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা আটকে রাখে বলে অভিযোগ। মারধরও করা হয়। খবর পেয়ে নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক রাজেশ নুরিয়ান সেখানে যান। পুলিশের পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীও। পুলিশ দেখে হামলাকারীরা চম্পট দেয়। ওই ৩৫ জনকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু তাঁরা কেউ ভোট দিতে চাননি ভয়ে। সিপিএম এবং কংগ্রেস এই ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছে।
বিরোধীদের দাবি, এবার বসিরহাট লোকসভা এলাকায় অবস্থা ভালো নয় শাসক দলের। সারদা কেলেঙ্কারি, টেট দুর্নীতি ছাড়াও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তুঙ্গে। তাই ভোটে জিততে তারা সন্ত্রাসের পথ অবলম্বন করেছে।