রায়গঞ্জে মহকুমাশাসককে জুতো ছোড়ার ঘটনায় গ্রেফতার ২ শিক্ষক
পঞ্চায়েত নির্বাচনে রায়গঞ্জে প্রিসাইডিং অফিসার খুনের ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজ্যে। ঘটনার জেরে বিক্ষুব্ধ হয়ে মারমুখী হন ভোট কর্মীরা। বিক্ষোভের মুখে পড়েন রায় গঞ্জের মহকুমাশাসক টি এন শেরপা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে রায়গঞ্জে প্রিসাইডিং অফিসার খুনের ঘটনায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজ্যে। ঘটনার জেরে বিক্ষুব্ধ হয়ে মারমুখী হন ভোট কর্মীরা। বিক্ষোভের মুখে পড়েন রায় গঞ্জের মহকুমাশাসক টি এন শেরপা। আর সেই ঘটনার জেরে শনিবার রাতে গ্রেফতার হন ২ স্কুল শিক্ষক।
১৪ মে পঞ্চায়েত নির্বাচনে র জন্য ভোটের ডিউটি করতে গিয়েছিলেন শিক্ষক তথা ভোটকর্মী রাজকুমার রায়। ইটাহারের সোনারপুরের একটি বুথে। ভোটের পরের দিন রায়গঞ্জের সোনাডাঙি রেল লাইনের ধারে রহস্যজনকভাবে দেখতে পাওয়া যায় রাজকুমার রায়ের ছিন্নভিন্ন মৃতদেহ। উঠতে থাকেএকাধিক প্রশ্ন। প্রশাসন জানায়, দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে রাজকুমার রায়ের। ক্ষোভে ফুঁস ওঠেন তাঁর সহযোগী ভোটকর্মীরা। এরপরই পরিস্থিতি সামলাতে বিক্ষুব্ধ ভোটকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যান মহকুমাশাসক , সেই সময়ে তাঁরে জুতো ছুরে মারধর করা হয়। এই ঘটনার জেরে গ্রেফতার করা হয়েছে ২ শিক্ষককে। ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাঁদের চিহ্নিত করা হয়।
[আরও পড়ুন: পুনর্নির্বাচনের পরও পুনর্নির্বাচন! আজ ফের ভোটগ্রহণ দুই বুথে, রঘুনাথপুরে ফের গণনা]
এই ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশসূত্রে জানা গেছে, মহকুমাশাসকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। এদিকে, বিক্ষুব্ধদের ভোট কর্মীদের হিসাব মানতে নারাজ সরকার। বিক্ষোভকারীরা সিপিএম ঘনিষ্ঠ শিক্ষকসংগঠন এবিটিএর সদস্য বলে জানায় শাসকদল।
[আরও পড়ুন: অসুস্থ আরাবুল, ভর্তি এসএসকেএম হাসপাতালে]