অসমের এনআরসি বিতর্ক, এফআইআর দায়ের হল তৃণমূলের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে
অসমে যাওয়া তৃণমূলের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হল। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশকে মারধর করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এনআরসি-র দ্বিতীয় খসড়া তালিকা প্রকাশের পর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের অসম যাওয়াকে কেন্দ্র করে বিতর্কের অবসান হওয়ার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপি দুই দলই রাজনৈতিক চাপান উতোরের খেলায় মেতেছে। এবার অসমে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হল। অভিয়োগ তাঁরা পুলিশকর্মীদের মারধর করেছেন।
অসমের
কাছাড়
জেলার
উদরবন্দ
থানায়
দু-দুটি
এফআইআর
দায়ের
হয়েছে
তৃণমূলের
৪
সাংসদ
ও
২
বিধায়কের
নামে।
একটি
করেছে
অসম
প্রশাসন।
ভারতীয়
দণ্ডবিধির
১০৭
ধারায়
তারা
তৃণমূলের
নেতাদের
অভিযুক্ত
করেছে
তারা।
অপর
অভিযোগটি
করেছেন
অসম
পুলিশের
কর্মী
রুবি
দাস।
তিনি
ভারতীয়
দণ্ডবিধির
৩২৩
ও
৩৩৮
ধারায়
অভিযোগ
করেছেন।
তাঁর মূল অভিযোগ অবশ্য তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। রুবি দাস দাবি করেছেন মহুয়া বিমানবন্দরে তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করেছেন। এর আগে শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে অসম পুলিশের ডিজি কূলধর সাইকিয়াও জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেতাদের হাতে নিগৃগীত হয়েছেন মহিলা পুলিশকর্মীদের কয়েকজন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে বলেও দাবি করেছিলোন সাইকিয়া।
এদিকে বিমানবন্দরে তাঁদের শারীরিক হেনস্থা করেছে অসম পুলিশ বলে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানাতে আগেই অভিযোগ দায়ের করেছিল তৃণমূল। শুক্রবার আলিপুর থানাতে সর্বানন্দ সনোয়ালের বিরুদ্ধে আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। স্পষ্ট ভলা হয়, সোনোয়ালের প্রত্যক্ষ অঙ্গুলিহেলনেই অসম পুলিশ তাদের নিগ্রহ করেছে।