রাজ্য পুলিশে আস্থা নেই, বালিগঞ্জ-আসানসোলে আসছে ১৩৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী
রাজ্য পুলিশে আস্থা নেই, বালিগঞ্জ-আসানসোলে আসছে ১৩৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী
বাংলায় ভোটের অভিজ্ঞতা ভালো নির্বাচন কমিশনের! হিংসা ছাড়া নাকি শান্তিপূর্ণ ভোট নাকি এখানেই হয়না। এমনটাই আলোচনা শোনা যায়। এই অবস্থায় বাংলার দুই উপনির্বাচন নিয়ে সতর্ক জাতীয় নির্বাচন কমিশন। আর তাই সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই বাংলায় ভোট করানোর সিদ্ধান্ত। আগামী ১২ এপ্রিল বালিগঞ্জ বিধানসভা এবং আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। আর দুই কেন্দ্রেই শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ ভোট করাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীতেই আস্থা। আর সেদিকে তাকিয়েই বাংলায় ১৩৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত।
তবে কোথায় কত বাহিনী মোতায়েন করা হবে সে বিষয়ে এখনই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে আগামীকাল শনিবার উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক রয়েছে। যেখানে বিএসএফ, কমিশন এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবে। সেখানেই কোথায় কত বাহিনী মোতায়েন করা হবে সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বিশেষ করে স্পর্শকাতর জায়গা গুলি চিহ্নিত করা সহ সমস্ত বিষয়ই এই বৈঠকে আলোচনা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
এছাড়াও এরিয়া ডোমিনেশন সহ সমস্ত বিষয় জায়গা পাবে এই বৈঠকে। তবে দুই কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে রাজ্য পুলিশ থাকলেও বুথের বাইরে থাকবে বলেই কমিশন সুত্রের খবর।
আরও জানা যাচ্ছে, গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রের জন্য যে সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল, ওই একই হারে উপনির্বাচনে বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আসানসোল লোকসভার মধ্যে থাকা ৭টি বিধানসভা এবং বালিগঞ্জ বিধানসভাকে ধরলে মোট ৮টি বিধানসভা কেন্দ্র ভোট হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রেই বাহিনী থাকবে। আর তা হিসাব করেই প্রাথমিক ভাবে ১৩৩ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে।
জানা যাচ্ছে, আগামী মাসের শুরু থেকেই ধাপে ধাপে এরিয়া ডোমিনেশনের কাজ শুরু করে দিতে চাইছে কমিশন। আর তাই সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাস অর্থাৎ মার্চ মাসের শেষের দিকেই বাহিনী বাংলায় চলে আসবে। গত বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত নজিরবিহীন বাহিনী বাংলায় মোতায়েন করে কমিশন। প্রায় এক হাজার কোম্পানি। এরপর ভবানীপুর উপ নির্বাচন সহ বাকিগুলিতেও রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তায় কোনও ভরসা রাখেনি কমিশন।
মমতার নির্দেশের পরেই জেলাজুড়ে অভিযান পুলিশের! উদ্ধার অস্ত্র এবং প্রচুর বোমা
সেখানেও বাহিনী মোতায়েন করা হয় নজিরবিহীন ভাবেই। তাও কিছু জায়গাতে গণ্ডগোল এড়ানো সম্ভব হয়নি। এই অবস্থায় বালিগঞ্জ এবং আসানসোল বড় চ্যলেঞ্জ কমিশনের কাছে। আর তাই সেদিকে তাকিয়ে একেবারে আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। উল্লেখ্য এবার আসানসোল এবং বালিগঞ্জ হেভিওয়েট লড়াই। ফলে গোটা দেশের নজর রয়েছে। আর সেখানে দাঁড়িয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কমিশনের তরফে।