২৭ ফেব্রুয়ারিতে বাংলায় বকেয়া ১০৮ পুরসভার ভোট! লক্ষ্মীবারেই বিজ্ঞপ্তির সম্ভাবনা
করোনা সংক্রমণ রাজ্যে কমার দিকে। এই অবস্থায় ভোট পিছানোর কোনও সম্ভাবনা নেই। নির্ধারিত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট হতে চলেছে রাজ্যের বকেয়া পুরসভাগুলিতে। গত ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার নির্বাচন হয়েছে। ব্যাপক ভোটে জয় পেয়েছে শাসকদল।
করোনা সংক্রমণ রাজ্যে কমার দিকে। এই অবস্থায় ভোট পিছানোর কোনও সম্ভাবনা নেই। নির্ধারিত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট হতে চলেছে রাজ্যের বকেয়া পুরসভাগুলিতে। গত ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার নির্বাচন হয়েছে। ব্যাপক ভোটে জয় পেয়েছে শাসকদল।
আর এরপরেই জানুয়ারিতে বিধাননগর সহ চার পুরসভায় ভোটের দিন ঘোষণা করা হয়েছিল। যদিও করোনার কারনে তা পিছিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে। কিন্তু ফের একবার ভোট পিছানোর আবেদন করা হয়েছিল বিজেপির তরফে। যদিও তা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এমনটাই রাজ্য নির্বাচন কমিশন সুত্রের খবর।
কমিশন মনে করছে এই মুহূর্তে বাংলায় করোনা সংক্রমণ তলানির দিকে। ফলে আর ভোট পিছানোর কোনও প্রশ্নই নেই বলে দাবি কমিশনের। ফলে নির্ধারিত দিনেই ভোট হবে।
আর সেই অনুযায়ী আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের বকেয়া পুরসভাগুলিতে ভোট হবে। এই মুহূর্তে ১০৮টি পুরসভাতে প্রশাসক নিয়োগ রয়েছে। সেই সমস্ত পুরসভাতেই ভোট হবে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি। কমিশন সুত্রের খবর, একদিনের এই সমস্ত পুরসভাতে ভোট হবে। সেই মতো আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আর সেদিন থেকেই প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন বলে ঠিক রয়েছে।
অন্যদিকে বিধাননগর, চন্দননগর, আসানসোল এবং শিলিগুড়িতে ভোট রয়েছে আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি। এদিন বিজেপির তরফে সেই ভোট আরও একমাস পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। তাও এদিন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
ঘোষণা অনুযায়ী ১২ তারিখ ভোট এবং ১৪ তারিখ গণনা হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এদিনের এহেন সিদ্ধান্তের পরেই ১০৮ পুরসভার জন্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছে শাসকদল।
উল্লেখ্য, আজ সোমবার স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৯১০। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫১৬ জন। রাজ্যে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২০৬১৯। এদিন মৃত্যু হয়েছে ৩৬ জনের। এদিন করোনার দৈনিক সংক্রমণের হার ৫.৪৯ শতাংশ হয়েছে।
এই অবস্থায় চিকিৎসকদের একাংশের মতে, ধীরে ধীরে বাংলা সুস্থ হচ্ছে। অন্যদিকে সংক্রমণ কমতে থাকায় আজ স্কুল-কলেজ খোলারও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুধু তাই নয়, একগুচ্ছ ছাড়ের ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে এই অবস্থায় ভোট পিছানোর কোনও প্রশ্ন নেই বলেই মত কমিশনের আধিকারিকদের। যদিও করোনা সংক্রমণকে মাথায় রেখে কড়া বিধি বহাল থাকছে। একসঙ্গে জমায়েত করে মিছিল মিটিংয়ে কড়া ব্যবস্থাই বহাল থাকবে বলে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে।