বিধায়কের হত্যাচক্রান্তে ১০ মিনিটের অপারেশন, আর তাতেই জয়নগরে ৩ জনের মৃত্যু
কালো স্করপিও গাড়িটা রোজই জয়নগরের বহরু-র কাছে পেট্রোল পাম্পে আসত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্য়াতেও পেট্রোল পাম্পে ঢোকে জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস-এর কালো স্করপিও গাড়িটি।
কালো স্করপিও গাড়িটা রোজই জয়নগরের বহরু-র কাছে পেট্রোল পাম্পে আসত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্য়াতেও পেট্রোল পাম্পে ঢোকে জয়নগরের বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস-এর কালো স্করপিও গাড়িটি। গাড়ির ভিতরেই বসে ছিলেন গাড়ির চালক বাবু এবং স্থানীয় যুব তণমূল নেতা ও জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি সইফুদ্দিন খান।
বিধায়ক বিশ্বনাথ দাস-এর এই কালো স্করপিওটা পেট্রোল-পাম্পে পরিচিত। কারণ এই পেট্রোল-পাম্প থেকেই এই গাড়িতে রোজ তেল ভরা হয়। পেট্রোল পাম্পের কর্মীরাও এগিয়ে গিয়েছিলেন গাড়িটিতে তেল ভরতে। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, আচমকাই কালো স্করপিওটা লক্ষ্য করে এক দল লোক চলে আসে। এদের সকলেরই মুখ বাঁধা ছিল। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কালো স্করপিও গাড়িটি ঘিরে ধরে ওই লোকজন।
এরপর সমানে চলতে থাকে বোমাবাজি ও গুলি। গাড়িটি ঘিরে সমানে গুলি চালানো হয়। আতঙ্কে পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা অন্যত্র লুকিয়ে পড়েছিলেন। সুতরাং তাঁদের পক্ষে দেখা সম্ভব হয়নি দুষ্কৃতীরা গুলি চালাতে কী ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছিল।
বোমাবাজি ও গোলাগুলির আওয়াজে মুহূর্তে এলাকার রাস্তা শুনশান হয়েগিয়েছিল। জানা গিয়েছে দুষ্কৃতীরা এরপর হাঁটতে হাঁটতে রাস্তার আড়়ালে অদৃশ্য হয়ে যায়।
পেট্রোল পাম্পের কর্মীরা জানিয়েছেন, হামলার ঘটনা ঘটেছিল সন্ধে ৭.৩০টায়। সব মিলিয়ে ৭.৪০-এর মধ্যে দুষ্কৃতীরা হামলার কাজ সম্পন্ন করে পালিয়ে যায়। হামলাকারীরা চলে যেতেই গাড়ি থেকে টেনে বের করা হয় চালক বাবু এবং তৃণমূল কংগ্রেসের জয়হিন্দ বাহিনীর ব্লক সভাপতি সইফুদ্দিন খান-এর দেহ। পেট্রোল পাম্পের লাগোয়া রাস্তায় পড়েছিল এক যুবকের দেহ। ঘটনার সময় তিনি সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন। আর সেই সময় দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমা গিয়ে তাঁকে আঘাত করে। বোমার আঘাতেই ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাঁর।
[আরও পড়ুন: ফিল্মি কায়দায় ভর সন্ধ্যায় বিধায়কের গাড়িতে শ্যুট-আউট, নিহত ৩ ]