হোয়াটসঅ্যাপ কলেই বাংলার বিজেপি সাংসদের খোয়া গেল ১০ লাখ টাকা! কীভাবে জানেন?
মানুষ আগের থেকে অনেক বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছে। অনলাইনের মাধ্যমেই সমস্ত কিছু সারতে চাইছে। আর তাতেই ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে সাইবার অপরাধ। প্রত্যেকদিনই কার্যত নিত্য নতুন সাইবার অপরাধের কবলে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। আর তাতে খোয়া যাচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এই বিষয়ে বারবার সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। কিন্তু এরপরেও প্রতারণার স্বীকার হতে হচ্ছে মানুষকে। আর এবার এমনই সাইবার অপরাধের স্বীকার হলেও খোদ বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা।

তদন্তে সাইবার পুলিশ
খোদ মন্ত্রীর ছবি দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, সাইবার অপরাধীরা একটি হোয়াটস অ্যাপ করেন। যেখানে মন্ত্রীর ছবি ছিল। আর সেই ছবি দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা চাওয়া হয়। সাইবার অপরাধীরা এমন ভাবে জ্বাল পাতে যে কেউ কিছু বুঝতে পারেনি যে বিষয়টি পুরোটাই জাল। আর সেই পাতা জালে পা দিয়েই ১০ লাখ টাকা খোয়ালেন দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ। ইতিমধ্যে দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগে এই বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে পুলিশ।

এক নজরে কি ঘটনা?
Surya Roshni Limited- বলে একটি সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর হলেন রাজু। জানা গিয়েছে, তাঁর সংস্থার চিফ জেনারেল ম্যানেজারকে একটি নম্বর থেকে হোয়াটস অ্যাপ করা হয়। আর সেই মেসেজে টাকা ট্রান্সফারের কথা বলা হয়। সব থেকে বড় ব্যাপার যে নম্বর থেকে চিফ জেনারেল ম্যানেজারকে হোয়াটস অ্যাপ করা হয় সেখানে রাজু বিস্তার ছবি ছিল। আর সেখানেই প্রতারকরা পুরো পুরিস্থিতি নিজেদের হাতে নিয়ে ফেলে। কত বড় যে প্রতারণা হচ্ছে তা বুঝতেই পারেনি কেউ। শুধু তাই নয়, সাংসদের আপ্ত-সহায়ক হিসাবে ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকেও ফোন করেন প্রতারকরা।

১০ লাখ টাকা খোয়া গিয়েছে
এমন ভাবে প্রতারকরা ঘুঁটি সাজায় যে কোনও ভাবে প্রতারণার উপায় ছিল না। আর সেই পা ফাঁদে পা দিয়ে ১০ লাখ টাকা দিয়ে দেন বিজেপি সাংসদের সংস্থার এমডি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে জেরা করা হয়েছে বলেও খবর। বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েই দেখা যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই কাজ বিজেপি সাংসদের চেনা পরিচিত লোক করতে পারে। না হলে সমস্ত তথ্য জানলেন কীভাবে সাইবার অপরাধীরা!

ব্যক্তিগত টাকা নয়
দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা। দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তিনি। তবে এই ঘটনায় হতবাক রাজু। এক সংবাদ মাধ্যমকে এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, এই টাকা তাঁর নয়। মালিকাধীন সংস্থার।