রাজ্যের চিঠি সিকিমকে, গুরুংকে পাকড়াও করতে ফের অভিযানে রাজ্য পুলিশ
সিকিম পুলিশের ভরসায় সোমবার ফের রাজ্য পুলিশ বিমল গুরুং ও রোশন গিরিদের জালে পুরতে অভিযানে নামল।
বিমল গুরুংয়ের খোঁজে ফের সিকিম পাড়ি দিল রাজ্য পুলিশ। এই অভিযান চালানোর জন্য সিকিম পুলিশের কাছে সহায়তাও চাওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। সিকিমের পুলিশ সুপারকে এই মর্মে একটি চিঠিও লেখে রাজ্য। সেইমতোই সিকিম পুলিশের ভরসায় সোমবার ফের রাজ্য পুলিশ বিমল গুরুং ও রোশন গিরিদের জালে পুরতে অভিযানে নামল।
[আরও পড়ুন:পাহাড়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের পর লেবং-এ মোর্চা সমর্থকের বাড়ি থেকে উদ্ধার বিস্ফোরক]
পুলিশ ও গোয়েন্দারা তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, লেবংয়ের কাছাকাছিই কোনও ডেরায় ঘাঁটি গেড়েছেন বিমল গুরুং। সেখান থেকেই তিনি পাহাড়ে নজরদারি চালাচ্ছেন। প্রতিনিয়ত অডিও বার্তা, ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে দূরে থেকেও তিনি পাহাড় আন্দোলন চালিয়ে যেতে চাইছেন।
[আরও পড়ুন:সাবধান গুরুং! এবার হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেবেন বিনয় তামাং]
যদিও পাহাড়ে আর তাঁর নির্দেশ চলছে না আগের মতো। সবাই-ই বন্দি জীবন ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চাইছেন। ভরা পর্যটন মরশুমে তাই এদিন পাহাড়ে দোকান বাজার খুলতে দেখা যায়। পাহাড়ে এদিন সরকারি বাসও চলেছে। মানুষও চাইছে পাহাড়ে অচলাবস্থা কাটিয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে।
এই সার সত্য সামনে আসতেই প্রশাসনও তৎপর বিমল গুরুংকে জালে পুরে পাহাড়ে শান্তির পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে। এমনিতেই মোর্চা সুপ্রিমো এখন ঘোর ফ্যাসাদে পড়ে রয়েছেন। তাঁর গতিবিধি এখন একটা ছোট্ট জায়গার মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। এবার সেই জায়গাটুকুও কেড়ে নিয়ে বিমল গুরুংয়ের জারিজুরি শেষ করে দিতে বদ্ধ পরিকর রাজ্য প্রশাসন।
মোর্চা ভেঙে খান খান হয়ে গিয়েছে। এক সর্বদল বৈঠকের পরই আড়াআড়ি বিভক্ত মোর্চা। বিমল গুরুং ও বিনয় তামাং এখন দুই ভিন্ন মেরুর বাসিন্দা হয়ে গিয়েছেন। মোর্চায় ভাঙন স্পষ্ট হয়েছে, তারপর ইউএপিএ ধারায় অভিযুক্ত গুরুং পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। এই অবস্থায় তাঁকে জালে পুরে পাহাড় আন্দোলনের সমাপ্তী ঘটানো জরুরি বলে মনে করছে প্রশাসন।