থেমে গেল মিলম্যানের রূপকথার দৌড়, সেমিফাইনালে ফের মুখোমুখি জকোভিচ-নিশিকোরি
জন মিলম্য়ানের রূপকথার দৌড় থামিয়ে ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে উঠেছেন নোভাক জকোভিচ। সেমিফাইনালে নোভাকের মুখোমুখি হচ্ছেন জাপানী তারকা কেই নিশিকোরি।
জন মিলম্য়ানের রূপকথার দৌড় থামিয়ে দিলেন দুবারের ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন নোভাক জকোভিচ। বিশ্বের ৫৫ নম্বর টেনিস খেলোয়াড় হয়ে ফেবেরারকে হারিয়ে কোয়ার্য়ার ফাইনালে উঠেছিলেন এই অস্ট্রেলিয় তারকা। কিন্তু জোকারের কাছে ৬-৩, ৬-৪, ৬-৪ ফলে স্ট্রেট সেটে হেরে থেমে গেল তার যাত্রা। অন্যদিকে মারিন চিলিচকে হারিয়ে আরও একটি সেমিফাইনালে নোভাকের মুখোমুখি হচ্ছেন জাপানী তারকা কেই নিশিকোরি।
ইউএস ওপেনের চতুর্থ রাউন্ড থেকেই পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ফেডেরারকে ছিটকে গিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয় জন মিলম্যান। জকোভিচ স্ট্রেট সেটে জিতলেও, জিততে তাঁরে অনেক ঘাম ঝড়াতে হয়েছে। আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে তাঁদের তিন সেটের ম্যাচ চলে ২ ঘন্টা ৪৯ মিনিট ধরে।
অবশ্য ম্য়াচটি যে লম্বা হতে চলেছে তা বোঝা গিয়েছিল প্রথম সেট থেকেই। প্রথম সেটের ষষ্ঠ গেমের জন্য দুজনের লড়াই চলে ১৫ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে। এই সময় মিলম্যান ৪টি ব্রেক পয়েন্ট বাঁচান। দ্বিতীয় গেমের প্রথম সেটেও একই ছবি দেখা গিয়েছে।
গরমের রাতে এই লম্বা খেলার ধকল স্পষ্ট হয়েছে খেলোয়াড়দের শরীরেও। দ্বিতীয় সেটের চতুর্থ গেমের পর মিলম্য়ান জকোভিচের কাছে সময় চেয়ে নেন ঘামে জবজবে শার্ট বদলে আসার জন্য। জকোভিচও আপত্তি করেননি। আবার জকোভিচও তৃতীয় সেটে একবার কুলিং ব্রেক নেন।
ম্য়াচের পর জকোভিচ জানান, ফেডেরারের বদলে মিলম্যান কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠায় তিনিও অবাক হয়েছিলেন। কিন্তু ম্যাচে তাঁর কড়া পরীক্ষা নিয়েছেন মিলম্যান। প্রত্য়েক পয়েন্টের জন্য তাঁকে লড়তে হয়েছে। মিলম্যান নিজে খুব একটা ভুল করেন না। তাই ধৈর্য ও আগ্রাসনের সঠিক ভারসাম্য না রাখতে পারলে তাঁরর বিরুদ্ধে জেতা কঠিন।
মিলম্যানের খেলোয়াড় জীবনের অনেকটাই নষ্ট হয়েছে চোট আঘাতে। এদিনের ম্যাচের পর তিনি জানান, তিনি সাধ্যমতো চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু গ্র্যান্ডস্ল্যাম খেলার অভিজ্ঞতা জকোভিচের অনেক বেশি। তিনি জানেন এই ধরণের ম্যাচ কীকরে জিততে হয়।
অপর কোয়ার্টার ফাইনালে সপ্তম বাছাই ক্রোট মারিন চিলিচকে ৪ ঘন্টা ৮ মিনিটের লম্বা লড়াইয়ে ২-৬, ৬-৪, ৭-৬(৭-৫), ৪-৬, ৬-৪ ফলে হারান জাপানী তারকা কেই নিশিকোরি। ফলে সেমিফাইনালে জকোভিচ ও নিশিকোরি মুখোমুখি হবেন।
২০১৪ সালের ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালে এই নিশিকোরিই কিন্তু ততকালীন ১ নম্বর জকোভিচকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছিলেন। প্রথম এশিয় হিসেবে কোনও গ্যান্ডস্ল্যাম সিঙ্গলস-এর ফাইনালে উঠেছিলেন তিনি। কিন্তু তারপর থেকে তাঁকে আর গ্র্যান্ডস্ল্যাম মানচিত্রে দেখা যায়নি। এবার অনেকদিন পর আবার সেখানে ফিরে এসে কী করেন সেদিকেই চোখ থাকবে টেনিস বিশ্বের।