আদালতে হার জকোভিচের, অস্ট্রেলিয়া বিদায় নিশ্চিত জোকারের
আদালতে হার জকোভিচের, অস্ট্রেলিয়া বিদায় নিশ্চিত জোকারের
শেষ রক্ষা হল না, অস্ট্রেলীয় সরকারের সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখল ফেডারাল কোর্ট। দ্বিতীয়বার ভিসা বাতিল হওয়ার পর আর অস্ট্রেলিয়ায় থাকা হচ্ছে না নোভাক জকোভিচের। সরকারের পক্ষে যুক্তি ছিল, স্বাস্থ্য এবং নিয়ম শৃঙ্খলার ভিত্তিতে নোভাক জকোভিচের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এর সঙ্গে জনস্বার্থও জড়িয়ে রয়েছে।
যার ফলে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে এই বছর আর নামা হচ্ছে না বিশ্বের এক নম্বর টেনিস তারকার। সোমবার (১৭ জানুয়ির) শুরু হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মূল পর্ব। এই দিনই বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্যারেমে নামার কথা ছিল জকোভিচের। স্বদেশী প্রতিপক্ষ অবাছাই মিওমির কেকমানোভিচের বিরুদ্ধে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল তাঁর।
রবিবার জোকারের আবেদন খারিচ করে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার ফেডারাল কোর্টের মুখ্য বিচারক জেমস অলসপ। কোর্টের সিদ্ধান্তে অত্যন্ত হতাশ হলেও আদালতের রায়কে সম্মান জানিয়েছেন তিনি। এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেছেন, "দেশ থেকে আমার প্রস্থানের বিষয়ে আমি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সহযোগীতা করব।" বিচারক তাঁর বিরুদ্ধে রায়দানের পর আদালত কক্ষের বাইরে অপেক্ষারত জোকার সমর্থকেরা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
শুক্রবার বিশেষ ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য জোকারের ভিসা বাতিল করেন অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী অ্যালেক্স হক। অ্যালেক্স জানিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার আইন বিধির ইমিগ্রেশন অ্যাক্টের ১৩৩সি (৩) ধারায় বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে জকোভিচের ভিসা বাতিল করেছেন তিনি। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, অস্ট্রেলিয়ার আইন বিধির ইমিগ্রেশন অ্যাক্টের ১৩৩সি (৩) ধারায় তাঁর বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করেছি জকোভিচের ভিসা বাতিল করার হয়েছে। স্বাস্থ্য এবং নিয়ম শৃঙ্খলার ভিত্তিতে নোভাক জকোভিচের ভিসা বাতিল করা হয় বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। এ-ও জানিয়েছিলেন এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে জনস্বার্থও জড়িয়ে রয়েছে।
৬ জানুয়ারি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিমানবন্দরে জকোভিচ পা রাখার পরেই সূত্রপাত ঘটে একের পর এক সমস্যার৷ ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে তাঁকে বিমানবন্দরেই আটকে দেয় অভিবাসন দফতর ৷ তাঁর ভিসা সংক্রান্ত আবেদন পত্রে তথ্যের ভুল থাকায় বাতিল করে দেওয়া হয় এন্ট্রি ভিসা। তাঁকে রাখা হয়েছিল অভিবাসন দফতরের নির্দিষ্ট করা একটি হোটেলে। তাঁর ভিসা বাতিল করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেছিলেন জোকার। সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং দাখিল করা কাগজ পত্র দেখে ভিসা বাতিলের সেই সিদ্ধান্তকে অনৈতিক ঘোষণা করেছিল আদালত।
শুক্রবার দ্বিতীয়বার ভিসা বাতিল হওয়ার পর থেকে মেলবোর্নের অভিবাসন দফতরের হোটেলেই রয়েছেন জকোভিচ। প্রথমবার ভিসা বাতিল হওয়ার পরও এই হোটেলেই রাখা হয়েছিল তাঁকে।