বোপান্নার স্ত্রীকে নিয়ে নিয়ে মন্তব্য ভক্তের, কী প্রতিক্রিয়া টেনিস তারকার? জানুন রোহনের প্রেমপর্বের কথা
রোহন বোপান্নার স্ত্রী সুপ্রিয়াকে সবচেয়ে সুন্দর বলে আখ্যা এক ভক্তের। সম্মতি জানান রোহন। জানুন তাঁদের প্রেমপর্বের কথা।
কোর্টে সানিয়া মির্জার সঙ্গে জুটি বেঁধে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন মিক্সড ডাবলস ফাইনাল খেললেন রোহন বোপান্না। শেষ অবধি রানার-আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। গ্যালারিতে ছিলেন রোহনের স্ত্রী সুপ্রিয়া। তাঁর সৌন্দর্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি পোস্ট করে কিছু মন্তব্য করেন এক ভক্ত। যার প্রতিক্রিয়া দিতে দেরি করেননি বোপান্না। ইতিমধ্যেই তা ভাইরাল।
কোর্টে সানিয়ার সঙ্গে
সানিয়া মির্জার স্বামী শোয়েব মালিক টেনিস তারকা স্ত্রীর শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম দেখতে গ্যালারিতে ছিলেন না। কিন্তু সানিয়ার পুত্র ইজহানকে নিয়মিত দেখা গিয়েছে মায়ের খেলা দেখার সময়। রোহন সানিয়ার প্রথম মিক্সড ডাবলস পার্টনার। গ্র্যান্ড স্ল্যামেও শেষবার কোর্টে সানিয়া নামেন রোহনের সঙ্গেই। রোহনের স্ত্রী সুপ্রিয়াও সন্তানদের নিয়ে হাজির থেকেছেন গ্যালারিতে। সুপ্রিয়ারই ছবি পোস্ট করে এক ভক্ত লেখেন, আমার দেখা এই মহিলাই সবচেয়ে সুন্দর। ইনি কি রোহন বোপান্নার স্ত্রী।
|
গ্যালারিতে স্ত্রী, ভক্তের কথাকে মান্যতা
রোহন অবশ্য স্পোর্টিংলিই নিয়েছেন তাঁর স্ত্রী সম্পর্কে ভক্তের এই প্রশংসা। স্ত্রীকে সবচেয়ে সুন্দর মহিলার আখ্যা দেওয়া ভক্তের টুইটটি তিনি শেয়ারও করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর স্ত্রী যে সবচেয়ে সুন্দর, ভক্তের মন্তব্যকে মান্যতা দিয়ে বোপান্না দুটি ইমোজি দিয়ে লিখেছেন, আই এগ্রি! অর্থাৎ রোহন পুরোপুরিভাবে মানছেন ভক্তের বিশ্লেষণকে।
দুজনেই বেঙ্গালুরুর
রোহন বোপান্না বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা। সুপ্রিয়ারও বাড়ি সেখানেই। কর্নেল আন্নাইয়া ও সারুর কন্যা সুপ্রিয়া যখন এম.এ. পড়ছেন, তখনই তাঁকে বিয়ে করেন বোপান্না। ২০১২ সালের নভেম্বরের ২৫ তারিখ। বোপান্না এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, সুপ্রিয়ার সঙ্গে তাঁর যখন প্রথম দেখা হয় তখন তাঁর মাথায় একটিও চুল ছিল না। কেন না, ২০১০ সালে বোপান্না ট্রেনারের সঙ্গে বাজি ধরেছিলেন যদি উইম্বলডনের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠেন তাহলে মাথা কামিয়ে ফেলবেন। ফলে কথা রাখতে হয়েছিল। আর তারপরই প্রথম দেখা সুপ্রিয়ার সঙ্গে।
নাটকীয়ভাবে প্রস্তাব
বোপান্না নাটকীয়ভাবে প্রোপোজ করেছিলেন সুপ্রিয়াকে। এক সাক্ষাৎকারে সুপ্রিয়াই জানিয়েছেন, তাঁর এক বান্ধবীর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন রোহন। আংটি কী মাপের হবে তা আগেভাগে জানতে ওই বান্ধবীরই সহায়তা নিয়েছিলেন। ওই বান্ধবী ঘুণাক্ষরে সুপ্রিয়াকে টের পেতে দেননি, তবে তাঁকে একটি সোনার দোকানে নিয়ে গিয়ে আংটি কী মাপের হবে তা জেনে নেন। কেন না, সেটা জানতেন না সুপ্রিয়া। এরপর বেঙ্গালুরুতেই একটি পাঁচতারা হোটেল বুক করেছিলেন রোহন। সুপ্রিয়াকে বলেছিলেন, পরের মাসেই বন্ধুর বিয়ে। তাঁর জন্য হনিমুন স্যুট বুক করবেন।
সুপ্রিয়া পেশাগতভাবে মনোবিদ
সুপ্রিয়াকে নিয়ে ওই হোটেলের রুমে যান রোহন। তখনই অপেক্ষা করছিল চমক। রোহন ঘরে ঢুকেই খুলে দেন ব্যালকনির দরজা। গোলাপ দিয়ে সাজানো ছিল ঘরটি। মোমবাতি, কেক সবই ছিল। কেকে লেখা ছিল প্লিজ ম্যারি মি। এভাবেই সুপ্রিয়াকে প্রোপোজ করেন বোপান্না। ছিল শ্যাম্পেনের বোতল। ক্যামেরাবন্দি হচ্ছিল প্রতিটি মুহূর্ত। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই সুপ্রিয়া অবাক হয়ে যান। মজা করে তিনি বলেন, এত আগেই কীভাবে বন্ধুর ঘর সাজানো হয়ে গেল? এরপর হাঁটু মুড়ে সুপ্রিয়ার সম্মতি প্রার্থনা করেন বোপান্না। এরপর ছিল ডিনারের বন্দোবস্ত। ক্রমেই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে এই দুজনের। সুপ্রিয়া পেশায় মনোবিদ।