বিদায় অস্ট্রেলিয়া, সোমবার ভোরেই দুবাই পৌঁছলেন জকোভিচ
বিদায় অস্ট্রেলিয়া, সোমবার ভোরেই দুবাই পৌঁছলেন জকোভিচ
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেতাব ধরে রাখার লড়াইয়ে নামার স্বপ্নে যবনিকা পতন হয়েছে। আইনের পথে লড়াই করেও শেষ রক্ষা হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী বিশেষ ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ভিসা বাতিল করে দেওয়ায় বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যামে নামার স্বপ্নে ইতি পড়েছে জোকারের।
১৭ জানুয়ারি থেকে শুরু অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মূল পর্ব। প্রথম দিনই নামার কথা ছিল বিশ্ব টেনিসের এক নম্বর তারকার। তবে তা আর সম্ভব নয়। অস্ট্রেলিয়া থেকে নির্বাসনের পর সোমবার ভোরে সাড়ে ১৩ ঘণ্টার সফর করে দুবাইয়ে পৌঁছেছেন জকোভিচ। অস্ট্রেলিয়া ছাড়ার সময়ে জকোভিচের সঙ্গে ছিল দু'টি ব্যাগ এবং মুখে মাস্ক। এখন পরিষ্কার নয় জকোভিচের পরবর্তী গন্তব্য কোথায় কারণ ১৪ ফেব্রুয়ারির আগে শুরু হবে না দুবাই ডিউটি ফ্রি টেনিস টুর্নামেন্ট। ২০২০ সালে এই প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন জোকার।
দুবাইয়ের পা রাখার জন্য ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট জরুরি নয়। তবে দুবাইয়ের বিমানে ওঠার আগে নেগেটিভ পিসিআর রিপোর্ট দেখানোটা বাধ্যতামূলক।
চোখ ধাঁধানো কেরিয়ারে এখনও পর্যন্ত জকোভিচ মোট ২০টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম জিতেছন। যার মধ্যে ন'বার তিনি অস্ট্রেলিয়া ওপেন খেতাব নিজের নামে করেছেন। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে গত তিন বারের চ্যাম্পিয়ন জকোভিচ। বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যামে জোকারের অংশ নেওয়ার আর কোনও সম্ভবনা না দেখায় এক মাত্র অতীতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ী তারকা বলতে এই ইভেন্টে অংশ নেবেন রাফায়েল নাদাল।
৬ জানুায়ির প্রথম জকোভিচের ভিসা বাতিল করেছিল অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন দফতরের আধিকারিকরা। মেলবোর্ন বিমানবন্দরে অভিবাসন দফতরের কর্মরত আধিকারিকরা জানিয়েছিলেন, জোকার কেন বিশেষ ছাড় পাওয়ার যোগ্য সেই বিষয়ে কোনও সঠিক কাগজপত্র দাখিল করতে পারেননি তিনি।তাঁর ভিসা সংক্রান্ত আবেদন পত্রে তথ্যের ভুল থাকায় বাতিল করে দেওয়া হয় এন্ট্রি ভিসা। তাঁকে রাখা হয়েছিল অভিবাসন দফতরের নির্দিষ্ট করা একটি হোটেলে। তাঁর ভিসা বাতিল করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেছিলেন জোকার। সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং দাখিল করা কাগজ পত্র দেখে ভিসা বাতিলের সেই সিদ্ধান্তকে অনৈতিক ঘোষণা করেছিল আদালত। কিন্তু আদালতের রায়ের পর নিজের বিশেষ ক্ষমতা কাজে লাগেন অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী অ্যালেক্স হক। অস্ট্রেলিয়ার আইন বিধির ইমিগ্রেশন অ্যাক্টের ১৩৩সি (৩) ধারায় বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে জকোভিচের ভিসা বাতিল করেন তিনি। তিনি জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য এবং নিয়মশৃঙ্খলার ভিত্তিতে নোভাক জকোভিচের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এর সঙ্গে জনস্বার্থও জড়িয়ে ছিল। ফের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় জোকারের লিগাল টিম। জোকারের আবেদন খারিজ করে রবিবার অস্ট্রেলিয়ার ফেডারাল কোর্টের মুখ্য বিচারক জেমস অলসপ সরকারের সিদ্ধাকেই বহাল রাখেন।