দশ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে জামিন পেলেন সুব্রত রায়
বারবার নানা অজুহাত দেখিয়ে বিনিয়োগকারীদের টাকা ফেরত দেননি সুব্রত রায়। শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে বললেও তা দেননি। এর জেরে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়। ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি আত্মসমর্পণ করেন ও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সেই থেকে চলছিল টানাপোড়েন। সুব্রতবাবু এর আগে টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বললেও আদালতের কাছে তা গ্রহণযোগ্য বলে মনে হয়নি। শেষ পর্যন্ত এদিন আদালত বলে, মুক্তি পেতে গেলে ১০ হাজার কোটি টাকা জমা দিতে হবে। সেই টাকা পরে তুলেও দেওয়ার হবে বিনিয়োগকারীদের হাতে। সুব্রতবাবু তাতেই রাজি হন। মানে বাধ্য হয়ে রাজি হতে হয় তাঁকে। ফলে বিচারপতিরা তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন। বিচারপতিরা বলেন, সারা জীবন সুব্রত রায়কে জেলে রাখা সম্ভব নয়। তাই তিনি ১০ হাজার কোটি টাকা জমা দিতে রাজি হওয়ায় আদালত জামিন মঞ্জুর করছে।
সাহারা গোষ্ঠী গতকাল শীর্ষ আদালতের কাছে একটি প্রস্তাব পেশ করেছিল। তাতে বলেছিল, বিনিয়োগকারীরা তাদের থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা পাবে। চলতি মাসেই ২৫০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। তার পর জুন, সেপ্টেম্বর এবং ডিসেম্বরের শেষে ৩৫০০ কোটি টাকা করে মোট ১০,৫০০ কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়া হবে। বাকি ৭ হাজার কোটি টাকা ২০১৫ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে মেটানো হবে। তবে আদালতের নির্দেশে এখনই ১০ হাজার কোটি টাকা জমা দেওয়ায় তাদের বাকি ১০ হাজার কোটি টাকা দিতে হবে।
ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, আদালতের চাপে ১০ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে সাহারা গোষ্ঠী। ভালো কথা। কিন্তু বাকি ১০ হাজার কোটি টাকা কি সত্যিই আদায় করা সম্ভব হবে? কারণ এর আগেও আদালত, সেবি-কে অনেক ভালো ভালো কথা বলেছিলেন সুব্রত রায়। শেষ পর্যন্ত একটা টাকাও না মেটানোয় আদালত বাধ্য হয় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে। বারবার জেলে পাঠিয়ে বকেয়া টাকা আদায় করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে এখন দানা বেঁধেছে সংশয়।