লখনউতে আত্মসমর্পণ সুব্রত রায়ের, তক্ষুণি গ্রেফতার
প্রসঙ্গত, সাহারা গোষ্ঠীকে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, বাজার থেকে তোলা ২০ হাজার কোটি টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে বিনিয়োগকারীদের। কিন্তু নানা টালবাহানা করে তা এড়িয়ে যাচ্ছিল সাহারা। চলতি সপ্তাহে এ জন্য তাঁকে সশরীরে হাজির হয়ে কারণ ব্যাখ্যা করতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। অথচ তিনি হাজির হননি। সুব্রত রায়ের আইনজীবী রাম জেঠমালানি আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন, তাঁর মক্কেলকে সশরীরে হাজির হওয়া থেকে রেহাই দেওয়া হোক। কারণ ওঁর মা গুরুতর অসুস্থ। মায়ের শেষ সময়ে যেন পাশে থাকতে পারেন সুব্রত রায়। কিন্তু সেই আর্জি মঞ্জুর হয়নি। উল্টে আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গরহাজির থাকায় জামিনঅযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় সুব্রতবাবুর বিরুদ্ধে।
গতকাল দুপুরে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ তাঁর লখনউয়ের বাসভবনে পৌঁছেছিল গ্রেফতার করতে। কিন্তু সুব্রত রায়কে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানায়, পালিয়ে গিয়েছেন সুব্রত রায়। এই দাবির বিরোধিতা করে শুক্রবার সাতসকালে তিনি জানান, "আমি পালাইনি। লখনউতে আছি। নিজের বাড়িতেই।"
এর পরই চমক। সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ পুলিশ পৌঁছয় তাঁর বাড়িতে। বিতর্ক এড়াতে আত্মসমর্পণ করেন সাহারাশ্রী সুব্রত রায়। তৎক্ষণাৎ তাঁকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আগামী ৪ মার্চ সাহারা নিয়ে মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টে। তখন আদালতই ঠিক করবে, তিনি জামিন পাবেন কি না। কারণ এদিনই একটি অন্তর্বর্তী জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
বাবার গ্রেফতারের পর ছেলে সীমন্ত রায় একটি সাংবাদিক বৈঠক করে বলেছেন, "আমরা আইন মেনে চলতে সংকল্পবদ্ধ। সুব্রত রায় একটি দেশপ্রেমিক মানুষ। আইনের সঙ্গে সব রকম সহযোগিতা করা হবে। আমরা একটা দীর্ঘস্থায়ী আইনি যুদ্ধ লড়ছি এবং বিশ্বাস করি যে, খুব তাড়াতাড়ি এর উপসংহার টানা সম্ভব হবে।"