বাঁকুড়ায় বিজেপিতে আদি-নব্যের লড়াই! কোন্দল প্রকাশ্যে
বাঁকুড়ায় বিজেপিতে আদি-নব্যের লড়াই! কোন্দল প্রকাশ্যে
সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বেশ কয়েকজন নেতার বহিষ্কারের দাবিতে এবার আন্দোলনে নামলেন বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলের বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।
সোমবার বিজেপির প্রয়াত নেতা অজিত মুর্মুর ছবি দেওয়া প্ল্যাকার্ড গলায় ঝুলিয়ে রানীবাঁধ বাজারে দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন তাঁরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে রানীবাঁধে খুন হন বিজেপি কর্মী অজিত মুর্মু। এই ঘটনায় সেই সময় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তোলে বিজেপি।
কিছুদিন আগে ওই এলাকার 'বিক্ষুব্ধ' তৃণমূল নেতা ও খাতড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত মিত্র মেদিনীপুর কলেজ মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। অতি সম্প্রতি বিদ্যুত্ দাস কলকাতায় গিয়ে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন। তারপর থেকেই তাঁদের দলে না নেওয়ার দাবিতে সরব হলেন রানীবাঁধের বিজেপি নেতা কর্মীদের একাংশ।
এদিনের বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে নিহত অজিত মুর্মুর স্ত্রী উর্ম্মিলা মুর্মু জানান, 'যাঁরা তৃণমূলে থাকাকালীন আমার স্বামী খুন হয়েছেন, তাঁরাই এখন বিজেপিতে। আমরা ওনাদের দলে চাই না। অবিলম্বে তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার না করলে আগামী বুধবার দলের রাজ্য দফতরে গিয়ে ধর্নায় বসব।'
দলে নবাগত বিদ্যুত্ দাস ও জয়ন্ত মিত্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিজেপি নেতা কৌশিক মুদি বলেন, 'অজিত মুর্মু খুন হয়েছেন। এছাড়াও আমাদের অসংখ্য দলীয় কর্মীর নামে অজস্র মিথ্যা মামলা দিয়েছে রাজ্য সরকারের পুলিশ। এ সবের নেতৃত্বে ছিলেন জয়ন্ত মিত্র ও বিদ্যুত্ দাস। এখন তাঁরাই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। অবিলম্বে এই দু'জনকে রাজ্য নেতৃত্ব বহিষ্কার না করলে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাব।'
দু মাসে ২ কোটি ৬২ লক্ষ ২৩ হাজার ৭৫৩ মানুষের 'দুয়ারে' পরিষেবা রাজ্য সরকারের