দল ছাড়লেন কাউন্সিলর, ঝালদায় সংকটে তৃণমূলের পুরবোর্ড
দল ছাড়লেন কাউন্সিলর, ঝালদায় সংকটে তৃণমূলের পুরবোর্ড
ঞ্চায়েত
ভোটের
আগে
সকটে
ঝালদা
পুরসভা।
তৃণমূলের
হাতছাড়া
হতে
পারে।
দল
ছাড়লেন
তৃণমূল
কাউন্সিলর
শীলা
চট্টোপাধ্যায়।
তারপরেই
কংগ্রেসের
পক্ষ
থেকে
অনাস্থা
প্রস্তাব
আনার
কথা
জানানো
হয়েছে।
পঞ্চায়েত
ভোটের
মুখে
হাত
ছাড়া
হতে
পারে
ঝালদা
পুরসভা।
এমনই
সম্ভাবনা
তৈরি
হয়েছে।
পদত্যাগ তৃণমূল কাউন্সিলরের
পুরবোর্ড গঠনের সময় নির্দল থেকে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন। ঝালদার তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তিনি। নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে জেতার পরেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি। তবে ঠিক কি কারণে তাঁর এই সিদ্ধান্ত তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
কী কারণে পদত্যাগ
নিজের
তৃণমূল
কংগ্রেস
থেকে
পদত্যাগের
কারণ
হিসেবে
সুস্পষ্ট
কোনও
ব্যখ্যা
দেননি।
তবে
তিনি
বলেছেন,
'আমি
নির্দল
থেকে
জয়ী
হয়ে
তৃণমূল
কংগ্রেসে
যোগদান
করি
এলাকার
উন্নয়নের
স্বার্থে।
দল
আমাকে
ঝালদা
শহর
সভানেত্রীর
দায়িত্বও
দেয়।
আজ
বৃহস্পতিবার
ব্যক্তিগত
কারণে
তৃণমূল
দল
ও
ঝালদা
শহর
তৃণমূল
কংগ্রেসের
সভানেত্রীর
পদ
থেকে
পদত্যাগ
করলাম।
বিষয়টি
লিখিত
ভাবে
জেলা
নেতৃত্বকেও
জানিয়েছি।'
অনাস্থা আনছে কংগ্রেস
কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্তে কংগ্রেসের পথ অনেকটাই সুগম হয়েছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অনাস্থা আনার কথা জানানো হয়েছে। কারণ শীলা চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পর আসন সংখ্যায় দুর্বল হয়ে পড়েছে তৃণমূল। ১২ ওয়ার্ডের ঝালদা পুরসভার নির্বাচনে ত্রিশঙ্কু হয়েছিল ফলাফল। তৃণমূল এবং কংগ্রেস উভয় ৫টি করে আসন পেয়েছিল। ২টি আসন পেয়েছিল নির্দল। তার মধ্যে একজন নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দিলে তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে ৬ হয়ে যায়। আর এক নির্দল কাউন্সিলর তৃণমূলকে সমর্থন জানায়। তারপরেই পুরবোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এবার আবার ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেসের আসন সংখ্যা আবার সমান সমান হয়ে গিয়েছে। যার জেরে অনায়াসেই অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারে কংগ্রেস।
তপন কান্দু হত্যাকাণ্ড
পুরভোটের ত্রিশঙ্কু ফলাফলের পর কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু প্রকাশ্য খুন হন। শাসক দলের হাত রয়েছে দাবি করে পরিবারের লোকেরা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তারপরেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। সেই মামলায় এখনও তদন্ত চলছে। তারই মধ্যে উপনির্বাচন তপন কান্দুর আসনে। সেই আসনে জয়ী হয়েছে কংগ্রেস। তপন কান্দুর ভাইপোকে সেই আসনে প্রার্থী করেছিল কংগ্রেস।