শুভেন্দুর সভার মাঝে তৃণমূলের পতাকা লাগানো গাড়ি! নন্দীগ্রামের পুনরাবৃত্তি পুরুলিয়ায়
শুভেন্দুর সভার মাঝে তৃণমূলের পতাকা লাগানো গাড়ি! নন্দীগ্রামের পুনরাবৃত্তি পুরুলিয়ায়
নন্দীগ্রামের পর পুরুলিয়ায় শুভেন্দু অধিকারীর সভাতে ফের বিশৃঙ্খলা তৈরি হল। শুভেন্দু অধিকারীর ভাষণের আগেই সভাস্থলে হুলুস্থূল পড়ে গেল। শুভেন্দুর সভাস্থলে মিলল তৃণমূলের পতাকা লাগানো গাড়ি। তার জেরেই সভা পণ্ড হওয়ার জোগাড়। সভা ছেড়ে সভ্য সমর্থকরা দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন বিশৃঙ্খলা দেখে। বহু কষ্টে বিশৃঙ্খলা দমন কর ফরে সভা হল পুরুলিয়ায়।
নন্দীগ্রামে বিড়ম্বনার পুনরাবৃত্তি ঘটল পুরুলিয়ায়
শুভেন্দু অধিকারী নিজ-গড় নন্দীগ্রামে বিড়ম্বনায় পড়েন। তার পুনরাবৃত্তি ঘটল পুরুলিয়ায়। শুভেন্দুর বক্তব্যের আগেই কাশীপুর মোড়ের পথসভায় বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। চেয়ার ছোড়াছুড়ি, হই-হট্টগোল বেধে যায়। শেষ শুভেন্দুকেই আসরে নেমে শান্ত করতে হয় পরিস্থিতি। আর এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য ভাইপোকে নিশানা করেন নব্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী।
পুলিশের অনুমতিতে মিছিল, তবু পুলিশের দেখা নেই
শুভেন্দু বলেন, পুলিশের অনুমতিতে মিছিল। তবু পুলিশের দেখা নেই। এসবই চক্রান্ত। ডায়মন্ড হারবার থেকে অফিসার এনে এখানে বসানো হয়েছে। কিন্তু আর কদিন। এরপর তো নির্বাচন কমিশনের হাতে চলে যাবে সবকিছু। তখন বুঝতে পারবেন আসল খেলা। নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য পুলিশকে কাজে লাগানো হচ্ছে।
নন্দীগ্রামের বিশৃঙ্খলায় বিজেপির যোগদান কর্মসূচিই লাটে
শুক্রবার নন্দীগ্রামের বিশৃঙ্খলায় বিজেপির যোগদান কর্মসূচিই লাটে উঠে যায়। কোনওরকমে নমো নমো করে বক্তব্য সেরে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করে দেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা-কর্মীরা বিজেপিতে যোগদানের কথা ছিল। খেজুরির তৃণমূল বিধায়ক রঞ্জিত মণ্ডল ও তাঁর ভাই অসীম মণ্ডলের যোগদানের খবর হতেই বিজেপিকর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।
প্রথমে চেয়ার ছোড়াছুড়ি, তারপর ঢিল ছোড়েন কর্মীরা
বিজেপি কর্মীদের বক্তব্য ছিল, ওই দুজনের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই। ফলে এদের নেওয়া যাবে না। যদি দলে ঢোকে, তবে এমন ঝামেলা করব পুলিশ দিয়েও আটকানো যাবে না। দলের উত্তেজিত একটা অংশ প্রথমে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করার পর ঢিল ছুড়তেও শুরু করে দেয়। এদিন অবশ্য নন্দীগ্রামের মতো ভেস্তে যায়নি সভা। উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে শুভেন্দু বক্তব্য রাখেন খানিকক্ষণ।
কর্মী-সমর্থকদের হইহুল্লোড়েই বিজেপির সভা পণ্ড
নন্দীগ্রামে মুকুল রায়ের পর তখন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বক্তব্য রাখছিলেন, সেইসময় বাধে গোল। বারবার একটা বিশৃঙ্খলা হচ্ছিল সভাস্থলে। বারবারই বক্তৃতা থামিয়ে উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের শান্ত হওয়ার বার্তা দিতে হচ্ছিল বিজেপি নেতাদের। শেষে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে হইহুল্লোড় এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে সভা একপ্রকার বন্ধ করে দিতে হয়।
শুভেন্দুকে যদি বিশ্বাস করেন তো...একটি আবেদন
সভাস্থলে উপস্থিত কর্মী-সমর্থকদের একাংশ তখন ফিরতে শুরু করেছেন সভাস্থল ছেড়ে। তখন শুভেন্দু মাইক্রোফোন হাতে বলে ওঠেন, আমি শুভেন্দু অধিকারী বলছি। আমাকে বিশ্বাস করেন তো? যদি বিশ্বাস করে থাকেন, তাহলে বসে পড়ুন। ততক্ষণে অনেকে চলে গিয়েছেন। অনেকে আবার বসেও পড়েন প্রিয় শুভেন্দুর আবেদনে। কিন্তু সভা আর বেশি এগোয়নি। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের রপর শুভেন্দু নমো নমো করে শেষ করেন সভা। যোগদানও তথৈবচ।
তৃণমূলের মুখ নিয়েই এগোচ্ছে বিজেপি! শুভেন্দু-মুকুলকে নিশানা জ্যোতিপ্রিয়র