মমতাকে পাশে নিয়ে শতাব্দী ফুঁসে উঠলেন বিজেপির বিরুদ্ধে! পুরুলিয়ার সভায় দিলেন 'অভিমান' নিয়ে বার্তাও
মমতাকে পাশে নিয়ে শতাব্দী ফুঁসে উঠলেন বিজেপির বিরুদ্ধে! পুরুলিয়ার সভায় দিলেন 'অভিমান' নিয়ে বার্তাও
মমতার বোলপুরের রোড শোতেও তিনি ছিলেন নেত্রীর পাশে। আর পুরুলিয়াতে সদ্য দলের সহ সভাপতি হওয়া শতাব্দীকে দেখা গেল মমতার ঠিক পাশের চেয়ারে। দুজনে বসে হাসিমুখে কথা বলছেন। প্রসঙ্গ, বোলপুর আর পুরুলিয়াতে 'হাসিমুখে' কথা বলার ছবিটা অক হলেও, এই দুই সভার মাঝের সময়টা শতাব্দীকে ঘিরে তোলপাড় হয়েছে। দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে কিছুদিন আগেই শতাব্দী বিস্ফোরক ফেসবুক পোস্ট করেন। তারপর শতাব্দীর মানভঞ্জনের পর এই প্রথম তৃণমূলের জনসভায় শতাব্দী। কী বললেন বীরভূমের সাংসদ।
মমতার ভূয়সী প্রশংসা
এদিন শতাব্দী রায় সাফ ভাষায় বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার প্রায় সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজই করে দিয়েছে। ১০০ শতাংশ কাজ কেউই করতে পারে না। তবে পুরুলিয়ার মতো জায়গা থেকে লোডশেডিংয়ের মতো সমস্যা দূর করাও বড় চ্যালেঞ্জ ছিল , আর তা হয়েছে। শতাব্দী বলেন দিদি যা বলেছেন,তা করেছেন। আর বিজেপি মিথ্যা কথা বলে।
মোদী সরকার নিয়ে শতাব্দীর তোপ
কয়েকদিন আগে জল্পনার পারদ চড়িয়ে শতাব্দী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করা নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা দিয়েছিলেন। তারপর জল্পনার পারদ তুঙ্গে ওঠে। এদিকে, মানভঞ্জনের পর পুরুলিয়ায় মমতার সভা থেকে শতাব্দী বলেন, বিজেপি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয়। মোদী সরকারের নাম না নিয়ে তিনি বলেন, যা যা প্রতিশ্রুতি দিল্লির সরকার ভোটের আগে দিয়েছিলেন, তার একটাও পূর্ণ করতে পারেনি তারা। শতাব্দী বলেন, যেখানে দেশের মানুষ ১৪০০ টাকার জন্য দরজায় দরজা. ঘোরেন, সেখানে দেশে ১৪ হাজার কোটি টাকা দিয়ে নতুন সংসদভবন তৈরি হচ্ছে!! শতাব্দী প্রশ্ন তোলেন এই খরচের কি প্রয়োজন আছে?
বিজেপি বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে!
শতাব্দী দাবি করেন, বিজেপি জেনে বুঝে মিথ্যাচার করছে। তারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। জনসভায় দর্শকদের উদ্দেশে শতাব্দীর বার্তা বিজেপির বিভ্রান্তিমূলক প্রতিশ্রুতিতে যেন কেউ পা না দেয়। তিনি বলেন, মোদী সরকার সাংসদ তহবিলের ফান্ড নিয়ে নিয়েছে। ফলে আগামীদিনে সাংসদরা উন্নয়ন করতে পারবেন না। কিন্তু সেই টাকা জনতার উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন ছিল।
দলের সঙ্গে মান অভিমান নিয়ে শতাব্দী!
এদিকে, কয়েদিন আগে ফেসবুক পোস্টে শতাব্দী জানিয়েছিলেন যে তঁকে বীরভূমে দলের কোনও কাজে যোগ দিতে দেওয়া হয়না। কর্মসূচির খবরও তিনি পাননা। এরপর এদিন শতাব্দী বলেন, সংসারে থাকতে গেলে মা, বাবা, স্বামীর বিরুদ্ধে রাগ হতেই পারে। তখন হয়তো রাগ করে পাল্টা কথাও ওঠে। তবে সেই মা , বাবা, বা স্বামীকে যদি পাশের বাড়ির কেউ, বা বাইরের কেউ টার্গেট করে কিছু বলেন, 'তাহলে কি আপনি জবাব দেবন না?' তিনি বললেন ভালোবাসার মানু।কে বাইরে থেকে কেউ কিছু বললে রুখে দাঁড়াতে হবে। আর সেই মর্মে মমতার বিরোধীদের রুখে দিতে হবে। নিজেদের চাওয়া পাওয়া থাকতেই পারে, তবে তা ঠিক জায়গায় বলতে হবে বলে মত শতাব্দীর।
'দলগত প্রচেষ্টা'কে কুর্নিশ, ভারতের জয় থেকে যেন অনুপ্রেরণা খুঁজলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়