পঞ্চায়েতে-রণকৌশল স্থির করতে অভিনবপন্থা! 'দুর্নীতির খাম' হাতে তৃণমূলকে নিশানা সুভাষ সরকারের
বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে জনসংযোগে অভিনব উদ্যোগ বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী চিকিৎসক সুভাষ সরকারের। জন সংযোগের পাশাপাশি 'গ্রাউণ্ড রিয়েলিটি' বুঝতে শনিবাসরীয় সকালে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত স
বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। তার আগে জনসংযোগে অভিনব উদ্যোগ বাঁকুড়ার (Bankura) বিজেপি (BJP) সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী চিকিৎসক সুভাষ সরকারের (Subhas Sarkar)। জন সংযোগের পাশাপাশি 'গ্রাউণ্ড রিয়েলিটি' বুঝতে শনিবাসরীয় সকালে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত সরকারী গাড়ি ছেড়ে বেসরকারি যাত্রীবাহী বাসে চেপেই জেলার জঙ্গলমহলের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।
সকালে শুরু জনসংযোগ
এদিন সকাল ৮ টা ৪৫ নাগাদ বাঁকুড়া গোবিন্দ নগর বাসস্ট্যাণ্ড থেকে ছেড়ে যায় ওই বাসটি। এরপর ধলডাঙ্গা, পুয়াবাগান, শুনুকপাহাড়ি, বাংলা, ভেদুয়াশোল, গোবিন্দপুর, হাতিরামপুর, সুপুর, খাতড়া পাম্প মোড়, আখখুটা, রানীবাঁধ হয়ে বেলা প্রায় ১২ নাগাদ তিনি ঝিলিমিলি পৌঁছন। দীর্ঘ এই যাত্রাপথে তিনি বাসযাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন।
খুশি বাসযাত্রীরা
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে সহযাত্রীকে হিসেবে পেয়ে খুশি ওই বাসের অনেকযাত্রী। বাসযাত্রী টুম্পা পাণ্ডে বলেন, তাদের সঙ্গে মন্ত্রী মশাই যাচ্ছেন, এটা অত্যন্ত আনন্দের, গর্বেরও। তাঁর ও তাঁর দুই মেয়ের সঙ্গে মন্ত্রী কথা বলেছেন, পড়াশোনার ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়েছেন। পড়াশোনা শিখেও চাকরি পাননি, কষ্টের মধ্যেই সংসার চালাতে হয়, সেকথা মন্ত্রী মশাইকে জানিয়েছেন টুম্পা।
পথেই শুনলেন নানা অভিযোগ
কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী সুভাষ সরকার এদিনের এই বাসযাত্রা প্রসঙ্গে বলেন, বাঁকুড়া, ইন্দপুর, খাতড়া, ঝিলিমিলি-এই পথে যাওয়ার সময় প্রত্যেক স্টপেজেই সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষ তাঁদের এলাকার পঞ্চায়েত এবং সেখানে দুর্নীতির কথা তাঁকে জানিয়েছেন। পাশাপাশি বাসযাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তিনি তৃণমূল স্তরে বিভিন্ন অবস্থা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেন।
পথে পেলেন দুর্নীতির-খাম
একশো দিনের কাজের সমস্ত দায় রাজ্য সরকারের, এমনটাই মন্তব্য বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারের। শনিবার তিনি বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন পুয়াবাগান বাসস্ট্যান্ডে নামেন। পুয়াবাগান থেকে তিনি 'পাঁচটি খাম' পেয়েছেন বলে জানান। অনুব্রত মণ্ডলের লটারি প্রাপ্তি প্রসঙ্গে তানি বলেন, সিবিআই তদন্তেই তো উঠে এসেছে যার অ্যাকাউন্টেওই লটারির টাকা ঢুকেছে তার কাছে টিকিট বিক্রিই হয়নি। রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার কত দিন চলবে সেটাই বুঝতে পারা যাচ্ছে না। দুর্নীতি প্রসঙ্গে তৃণমূলের পার্থ চটাটোপাধ্যায় আর অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে কেন দু'রকম পন্থা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। শেষে তিনি তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে 'চোর' বলে আক্রমণ করেন। তাঁর এদিনের অভিজ্ঞতা থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনের 'রণকৌশল' ঠিক করবেন বলেও জানিয়েছেন সুভাষ সরকার।
নরেন্দ্র মোদীর পরে এবার ভারতীয়দের প্রশংসায় পুতিন! ফের বন্ধু দেশ নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট কী বললেন?