কংগ্রেস বিধায়ক একইসঙ্গে মাত দিলেন মোদী, মমতাকে! পরিযায়ীদের অধিকার ফেরালেন হাইকোর্ট থেকে
কংগ্রেস বিধায়ক একইসঙ্গে মাত দিলেন মোদী, মমতাকে! পরিযায়ীদের অধিকার ফেরালেন হাইকোর্ট থেকে
কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাত পুরুলিয়ার পরিযায়ীদের অধিকার ফেরালেন হাইকোর্ট থেকে। মোদী সরকার জানিয়েছিল, কোনও জেলায় যদি ২৫ হাজারের বেশি পরিযায়ী থাকে, তাহলে সেই জেলা গরিব কল্যাণ যোজনার অন্তর্ভুক্ত হবে। সেই অনুযায়ী পুরুলিয়া নাম বিবেচনা না হওয়ায় হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন কংগ্রেস বিধায়ক।
প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনা
পরিযায়ী শ্রমিকদের সুবিধার্থে ২০ জুন প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার কথা ঘোষণা করেছিল মোদী সরকার। এই প্রকল্পে ছয় রাজ্য বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ড়িশার ১১৬ টি জেলা অন্তর্ভুক্ত করেছিল মোদী সরকার। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কর্মীরা কাজ পাবেন। রাস্তা, জল, বিদ্যুৎ, পরিকাঠামো, বৃক্ষরোপণ, সরকারি আবাসন নির্মাণে শ্রমিকদের কাজ পাওয়ার কথা জানানো হয়েছিল।
অন্তর্ভুক্ত হয়নি বাংলার কোনও জেলার নাম
লকডাউনের জেরে বিভিন্ন রাজ্য থেকে বাংলায় প্রায় ১০ লক্ষ পরিযায়ী ফিরে আসেন। কিন্তু কোনও জেলার নামই প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। শর্ত ছিল কোনও জেলায় অন্তত ২৫ হাজার পরিযায়ী থাকবে হবে। যা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে বিরোধী বাম কংগ্রেস সকলেই প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।
হাইকোর্টে নেপাল মাহাতোর আবেদন
বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাত। সেখানে তিনি বলেন, তিনি ৩০ জুন জেলাশাসকের দফতর থেকে জানতে পেরেছেন, সেই জেলায় কমপক্ষে ৪০ হাজার পরিযায়ী ফিরেছেন। এর পাশাপাশি পুরুলিয়া জেলাকে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় অন্তর্ভুক্তির দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও জেলাশাসকের দপতরে চিঠি দেন। তাতেও কাজ না হওয়ায় হাইকোর্টে মামলা করেন তিনি।
পুরুলিয়াকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের
এদিন পুরুলিয়াকে প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জেলাশাসককে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। যদিও এর আগে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় রাজ্যের কোনও জেলার নাম অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, তালিকা পাঠায়নি রাজ্য সরকার।
দ্বিতীয় পর্যায়ের করোনা ধাক্কায় বেসামাল ফ্রান্স-স্পেন! লাগামহীন ভাবে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা