মাওবাদী-রিহ্যাবের অর্থ বন্ধ তাই জঙ্গলমহলে আবার পোস্টার ফেলে অশান্তি তৈরির চেষ্টা চলছে, বললেন কুণার হেমব্রম
মাওবাদী-রিহ্যাবের অর্থ বন্ধ তাই জঙ্গলমহলে আবার পোস্টার ফেলে অশান্তি তৈরির চেষ্টা চলছে, বললেন কুণার হেমব্রম
শেষ তিনমাসে মাওবাদী সতর্কতা বেড়ে জঙ্গলমহল জুড়ে৷ ঝাড়গ্রামের বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হচ্ছে মাওবাদী হুমকি দেওয়া পোস্টার৷ এপ্রিলেই টানা ১৫ দিন ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার জঙ্গল অধ্যুষিত বড় অংশে জারী হয়েছিল মাওবাদী সতর্কতা। কিন্তু হঠাৎ কেন আবার সক্রিয় মাওবাদীরা! এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে ওয়ানইন্ডিয়াবাংলার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বড়সড় অভিযোগ করলেন ঝাড়গ্রামের বিজেপি সাংসদ কুনার হেমব্রম।
ওয়ানইন্ডিয়াবাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কী বললেন সাংসদ কুনার?
জঙ্গলমহলে নতুন করে মাওবাদী অশান্তি কেন বাড়ছে এই প্রশ্নের উত্তর দিয়ে কুনার বলেন, 'প্রশাসনের তরফে আমাকে কিছু জানানো হয়নি৷ আমার সিকিউরিটিদের (সিআইএসএফ) কাছেও কেন্দ্র থেকে কোনও খবর নেই, সতর্কতা নেই! আইবি থেকেও কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি৷ আমি ওই পেপারে আর ফেসবুকেই শুনছি মাওবাদী পোস্টার পাওয়া যাচ্ছে! পুলিশের ডিজি, এসপিরা মিটিং করছেন মাওবাদী সতর্কতা নিয়ে!'
মমতা-ই বলতেন মাওবাদী নেই!
এরপর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে কুনার বলেন, উনিই তো একটা সময় বলতেন মাওবাদী বলে কিছু নেই। এখন রাজ্য সরকার রোজ পোস্টার, অস্ত্র খুঁজে পাছে! পঞ্চায়েত নির্বাচন সামনে আসছে তাই এসব অশান্তি তৈরি করে মানুষের মনে ভয় ধরানোর চেষ্টা চলছে!
কেন মাওবাদী অশান্তি ছড়াচ্ছে নতুন করে, কী বলছেন সাংসদ কুনার?
এই প্রশ্নের উত্তরে কুনার হেমব্রম বলেন, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মাওবাদী রিহ্যাবের জন্য কেন্দ্রের তরফো ফান্ড দেওয়া হত ৩০০ কোটি টাকা। দু'তিন বছর ধরে রাজ্য এই টাকা পাচ্ছে না৷ তাই এসব অশান্তি তৈরির চেষ্টা চলছে! যাতে ফান্ড আবারও পাওয়া যায়! তবে এখানেই থামেননি সাংসদ তিনি আরও বলেন, 'এক সময় মাওবাদী সংগঠনে যুক্ত থাকা কিছু লোকজনকে সিভিক ভলেন্টিয়ার ও অন্য পোস্টে নিয়োগ করলেও। সবাইকে পূর্ণবাসন দেয়নি রাজ্য, তাই মাওবাদী সমস্যা নতুন করে মাথাচাড়া দিতে পারে।
বিজেপিতে জল্পনা বাড়ালেন জিতেন্দ্র, বাংলার মন জয়ের কথায় উঁকি দিচ্ছে 'সিঁদুরে মেঘ’