টেনে থাপ্পর মারতাম তৃণমূলের লোক হলে! কি জেলা চালাচ্ছেন? চরম ক্ষুব্ধ মমতা
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে ফের একবার জেলা সফরে বেরিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুদিনের সফরে পুরুলিয়া এবং ঝাড়গ্রামে গিয়েছেন তিনি।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে ফের একবার জেলা সফরে বেরিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুদিনের সফরে পুরুলিয়া এবং ঝাড়গ্রামে গিয়েছেন তিনি। আর সেখানেই পৌঁছেই পুরুলিয়াতে প্রথম প্রশাসনিক বৈঠক করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। আর এই বৈঠকের শুরু থেকেই রীতিমত আক্রমণাত্বক ছিলেন তিনি।
একের পর এক অভিযোগকে সামনে নিয়ে আসছিলেন তিনি। এমনকি সরকারি কাজ করাতেও ঘুষ!
দেখে একেবারে চমকে ওঠেন মমতা
এদিন বৈঠক শুরু হওয়ার আগেই বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষকে নিয়ে মঞ্চে ওঠেন মমতা। আর সেই সমস্ত মানুষ সরকারি কাজ করাতে কত টাকা কোথায় ঘুষ দিয়েছে সে বিষয়ে তথ্য প্রমাণ প্রকাশ্য সভায় তুলে ধরেন তিনি। কোথায় দু লাখ তো কোথাও ১৫ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। জমি মিউটেশন করাতে বিএলআরও অফিসে এমন কাণ্ড রীতিমত অবাক করে দেয় খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। জেলার এই অবস্থা থেকে প্রথম থেকেই মজাজ হারান তিনি।
রাজস্ব নিয়ে মারাত্মক অভিযোগ
আর এই সভা চলাকালীনই ইটভাটা থেকে পাওয়া রাজস্ব নিয়ে মারাত্মক অভিযোগ করেন এক তৃণমূল নেতা। রাজস্বের টাকা সরকারি কর্মীদের পকেটে চলে যাচ্ছে বলেও মারাত্মক অভিযোগ সামনে আসে। আর এরপরেই একেবারে মেজাজ হারান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরুলিয়ার জেলাশাসকের উদ্দেশে সরাসরি প্রশ্ন ছুড়ে তিনি। কেন এমন হচ্ছে তা নিয়েও জেলাশাসককে একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মমতা। যা নিয়ে একেবারে অস্বস্তিতে পড়ে যায় জেলাশাসক নিজে।
প্রশাসনের নীচের তলার কর্মীরা
শুধু তাই নয়, জেলাশাসকলে উদ্দেশ্য করে মমতা বলেন, ডিএম শুনতে পাচ্ছেন। এগুলি কি তৃণমূল করেছে? প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তিনি। আর তা করেনি জানিয়ে মমতা বলেন, প্রশাসনের নীচের তলার কর্মীরা এই কাজ করছে। নিজেরা কিছুটা দিয়ে পকেটে ঢুকিয়ে নিচ্ছে? কি জেলা জেলাশাসক চালাচ্ছেন তা নিয়েও প্রশ্ন ক্ষুব্ধ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দীর্ঘদিন জেলায় থাকাকালীন এমন ঘটনা কেন ঘটছে একের প্রশ্ন ছুএ দেন তিনি। কার্যত উত্তর দিতে হিমশিম খেতে হয় জেলাশাসককে।
কয়েকজন এত লোভী কেন?
এখানেই না থেমে মমতা আরও বলেন, ''এত কিছু দিচ্ছি মানুষকে, তবু কয়েকজন এত লোভী কেন হয়ে গিয়েছে। আর কত চাই? আমার পার্টির লোক হলে আমি টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম। তাদের আমি সবসময় শাসন করি।'' শুধু তাই নয়, কীভাবে রাফ এন্ড টাফ হয়ে জেলা চালাতে হয় সে বিষয়ে জেলাশাসককে বার্তা মমতা'র। জানান, আমি বৈঠক করছি, আর তোমার পুলিশ ঘটনাস্থলে চলে যাবে। একে বলে প্রশাসন, একে বলে কাজ। জেলা জুড়ে এমন অবস্থা দেখে রীতিমত হতাশাই উঠে আসে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে।