পঞ্চায়েতে চোখে চোখ রেখে লড়াই, এবার মহিলা বাহিনীর প্রস্তুত! রাঢ়বঙ্গে বার্তা লকেটের
পঞ্চায়েতে চোখে চোখ রেখে লড়াই, এবার মহিলা বাহিনীর প্রস্তুত! রাঢ়বঙ্গে বার্তা লকেটের
বঙ্গ বিজেপিতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁরে রাঢ়বঙ্গের পর্যবেক্ষক করে পাঠানো হয়েছে। ২০২১-এর নির্বাচনের পর থেকে তিনি বঙ্গ বিজেপিতে খানিক ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন। বঙ্গ নেতৃত্বের কাছে গুরু্ত্ব হারিয়ে তিনি ভি্নরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছিলেন সহ পর্যবেক্ষকের ভূমিকায়। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তিনি রাঢ়বঙ্গের দায়িত্ব নিলেন বিজেপির।
বুধবার রাঢ়বঙ্গের বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার বৈঠকে পর্যবেক্ষক লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, "বিজেপিকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। পঞ্চায়েতে চোখে চোখ রেখে লড়াই হবে।" বাঁকুড়ায় দলীয় কর্মসূচিতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি সাংসদ তথা দলের রাঢ় বঙ্গ জোন কমিটির অবজার্ভার লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, এবার তাঁদের মহিলা বাহিনী তৈরি। মহিলারাও এবার চোখে চোখ রেখে লড়বেন। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট থেকেই তার প্রতিফলন দেখা যাবে বাংলায়।
এদিন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করা তৃণমূলের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরিকে একহাত নেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। এক প্রশ্নের উত্তরে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, অখিল গিরিকে জেলে যেতেই হবে। দেশের কোনায় কোনায় তাঁর নাম এফআইআর হয়েছে। এসসি-এসটি মিশনও এ বিষয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে। ফলে পালাবার জায়গা নেই।
পঞ্চায়েত
ভোটের
আগে
তৃণমূলের
মন্ত্রীর
এই
রাষ্ট্রপতি
মন্তব্যকে
এবার
রাঢ়বঙ্গ
ও
উত্তরবঙ্গের
আদিবাসী
মহলে
ইস্যু
করতে
উদ্যোগী
হয়েছে
বিজেপি।
বাঁকুড়ার
এই
সাংগঠনিক
বৈঠক
থেকে
পর্যবেক্ষক
লকেট
চট্টোপাধ্যায়
যেমন
সরব
হয়েছেন,
তেমনই
কেন্দ্রীয়
শিক্ষা
প্রতিমন্ত্রী
ড.
সুভাষ
সরকারও
সরব
হয়েছেন।
তিনি
আদিবাসীদের
বাড়ি
বাড়ি
দ্রৌপদী
মুর্মুর
ছবি
পাঠানোর
পরিকল্পনার
কথা
ঘোষণা
করেছেন
সাংগঠনিক
বৈঠকে
সিদ্ধান্তের
পর।
আদিবাসী
এলাকায়
আদিবাসী
ভোট
করায়ত্ত
করতে
বিজেপি
এবার
তুরুপের
তাস
হিসেবে
অখলি
গিরির
করার
মন্তব্যকে
হাতিয়ার
করতে
চলেছে।
সেই
অস্ত্রে
শান
দিয়ে
আদিবাসীদের
বাড়ি
বাড়ি
রাষ্ট্রপতি
দ্রৌপদী
মুর্মুর
ছবি
পৌঁছে
দেওয়ার
কর্মসূচি
নিয়ে
বিজেপি
জানিয়েছে,
এটা
আদিবাসীদের
'ব্যথা'
উপশমেই
এক
পরিকল্পনা।
কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ড. সুভাষ সরকার বলেন, রাজ্যের কারামন্ত্রী অখিল গিরি যেভাবে রাষ্ট্রপতিকে অপমান করেছেন তাতে মুখ্যমন্ত্রীর উচিত ছিল ওনাকে 'বরখাস্ত' করা। আর ওই মন্ত্রীর উচিত ছিল নিজেরই পদত্যাগ করা। মুখ্যমন্ত্রী বা মন্ত্রী দু'জনের কেউই তাদের উচিত কর্ম করেননি। রাষ্ট্রপতিকে অপমান তো করেছেনই, অপমান করেছেন গোটা আদিবাসী সমাজকে। তাই আদিবাসীদের মনের ব্যথা উপশম করার ভার আমাদেরকেই নিতে হয়েছে।
ভোটার তালিকাতে নাম তোলা নিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক! মদনের মন্তব্যে হইচই রাজনীতিতে