ঝালদা পুরসভায় ফের অনিশ্চয়তার মেঘ, খারিজ চেয়ারপার্সনের কাউন্সিলর পদ
নতুন চেয়ারম্যান নিযুক্ত হলেন সুদীপ কর্মকার। পুরসভা ভোটের পর থেকে একের পর এক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে ঝালদা পুরসভাকে কেন্দ্র করে।
ঝালদা পুরসভায় ফের ডামাডোল। অনিশ্চয়তার মেঘ যেন কাটছেই না সেখানে। নতুন পুর প্রধান নির্বাচনের কয়েকদিনের মধ্যেই খারিজ হয়ে গেল চেয়ারপার্সন শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাইন্সিলর পদ। নতুন চেয়ারম্যান নিযুক্ত হলেন সুদীপ কর্মকার। পুরসভা ভোটের পর থেকে একের পর এক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে ঝালদা পুরসভাকে কেন্দ্র করে।
ঝালদা পুরসভায় ডামাডোল
ঝালদা পুরসভায় ফের অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। চেয়ারপার্সন শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজ হয়ে গিয়েছে। ঝালদা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন তিনি। কয়েকদিন আগেই ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সন হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার পরেই ঝালদার মহকুমা শাসক তাঁর কাউন্সিলর পদ খারিজ করে দেন। কারণ দলবদল হিসেবে জানানো হয়েছে। পুর আইন অনুযায়ী পুরনির্বাচনের ৬ মাসের মধ্যে এক দল থেকে অন্যদলে যাওয়া যায় না। সেকারণেই তার কাউন্সিলর পদ খারিজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহকুমা শাসক।
নতুন চেয়ারম্যানের শপথ
নির্দল কাউন্সিলর ছিলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডের পর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বেশিদিন সেখানে থাকতে পারেননি। তিনি তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। তারপরে আবার নির্দল কাউন্সিলর হিসেবেই ছিলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু পুরভোটের ৬ মাসের মধ্যে এই ভাবে বারবার দল বদল করা যায় না এমনই রয়েছে পুর আইনে। সেকারণেই তাঁর কাউন্সিলর পদ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। তার জায়গায় নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন সুদীপ কর্মকার।
আদালতের নজরদারিতে পুরবোর্ড গঠন
শীলা চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে আসার পরেই তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পুরবোর্ড দুর্বল হয়ে পড়ে। তারপরেই অনাস্থা প্রস্তাব আনে কংগ্রেস। এবং আদালতে এই নিয়ে মামলা পর্যন্ত গড়িয়েছে। এসে আদালতের নির্দেশ মেনে কড়া পুলিশি প্রহরায় আস্থাভোট হয়। তাতে কংগ্রেস জেতে। এবং কংগ্রেস নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন নিয়ে পুরবোর্ড গঠন করে। এরই মধ্যে আবার শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজ হয়ে যাওয়াতে নতুন করে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে পুরসভায়।
ঝালদা পুরসভায় সংকট
পুরভোটেক পর থেকেই ঝালদা পুরসভা নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। ত্রিশঙ্কু ফল হয়েছিল ঝালদা পুরসভায়। তারপরেই কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুন হন। সেই ঘটনায় শাসক দলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করে কংগ্রেস। হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায় মামলা। ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। ভাড়াটে খুনি নিয়ে খুন করা হয়েছিল তপন কান্দুকে। পুরবোর্ড গঠনের জন্য তপন কান্দুকে দল বদলের জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ করে তার পরিবার।
দিদি এত রাগ ভালো নয়! মমতাকে শান্ত হওয়ার পরামর্শ বাংলার জামাই নাড্ডার