বিজেপিতে ফের 'হোয়াটসঅ্যাপ বিদ্রোহ'! বাঁকুড়ার ৫ বিধায়কের গ্রুপ ছাড়া নিয়ে জল্পনা
বিজেপির (BJP) রাজ্য কমিটির ঘোষণার পরে যে বিদ্রোহ (Rebellion) শুরু হয়েছিল, সেই বিদ্রোহ এবার জেলা জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে। শনিবার সাংগঠনিক জেলা সভাপতি এবং ইনচার্জদের নাম ঘোষণা পরে উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) এবং নদি
বিজেপির (BJP) রাজ্য কমিটির ঘোষণার পরে যে বিদ্রোহ (Rebellion) শুরু হয়েছিল, সেই বিদ্রোহ এবার জেলা জেলায় ছড়িয়ে পড়ছে। শনিবার সাংগঠনিক জেলা সভাপতি এবং ইনচার্জদের নাম ঘোষণা পরে উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas) এবং নদিয়ার (Nadia) ৫ মতুয়া বিধায়ক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছিলেন। এবার গলের রাজ্য ও জেলার বিভিন্ন গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন বাঁকুড়ার (Bankura) ৫ বিধায়ক (MLA)।
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন যে ৫ বিধায়ক
শনিবার গভীর রাতে বিজেপির বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার ৪ বিধায়ক নির্মল ধাড়া, দিবাকর ঘরামি, হরকালী প্রতিহার এবং অমরনাথ শখা। এর পাশাপাশি বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার একমাত্র বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা। এরপরেই দুই সাংগঠনিক জেলার পাশাপাশি রাজ্যে নেতৃত্বের মধ্যেও শোরগোল পড়ে যায় বলেই জানা গিয়েছে।
প্রকাশ্যে মন্তব্যে নারাজ বিধায়করা
এই পাঁচ বিধায়কের কেউ সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি। নিজেদের ক্ষোভের কথাও তাঁরা অস্বীকার করেছেন। বিধায়ক নীলাদ্রি শেখর দানা বলেছেন, সংবাদ মাধ্যমে এব্যাপারে কিছু বলা যাবে না। বিষয়টিকে দলের অন্যন্তরের বলেও বর্ণনা করেছেন তিনি। অন্যদিকে একই কথা বলেছেন ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শখা। দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরনোর কথা স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেছেন, এব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলা যাবে না।
দুই সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের নিয়েই অসন্তোষ
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বাঁকুড়া জেলার বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর, দুই সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতিদের ঘিরেই অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিধায়করা এব্যাপারে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, নতুন সভাপতিদের হাতে দায়িত্ব থাকলে, সংগঠন ভেঙে পড়বে। একবছরের মধ্যে সরানো হয়েছে বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজিত অগস্তিকে। যা নিয়ে প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ওই নেতার অনুগামীরা। যদিও এব্যাপারে দুই নবনিযুক্ত সভাপতি বিষ্ণুপুরের বিল্লেশ্বর সিংহ এবং বাঁকুড়ার সুনীলরুদ্র মণ্ডল পাল্টা প্রশ্ন করেছেন, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়া নিয়ে বিদ্রোহ কোথায়?
ক্ষোভের কথা তোলা হয়েছে জেপি নাড্ডার কানেও
শনিবার বিজেপির সাংগঠনিক জেলার সভাপতি এবং ইনচার্জদের নাম ঘোষণা করা হয়। ৩৯ টি জেলার মধ্যে ৩০ জনকে বদল করা হয়। এরপরেই মতুয়াদের গুরুত্ব না দেওয়ার অভিযোগে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন বনগাঁ উত্তরের অশোক কীর্তনিয়া, গাইঘাটার সুব্রত ঠাকুর, হরিণঘাটার অসীম সরকার, কল্যাণীর অম্বিকা রায় এবং রাণাঘাট দক্ষিণে মুকুটমনি অধিকারী। এদিন অবশ্য অম্বিকা রায়ের মতা কেউ কেউ ভুল করে বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন। অন্যদিকে দলের ভিতরের খবর কীভাবে সংবাদ মাধ্যমের কাছে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার। তবে মতুয়াদের অসন্তোষের বিষয়টি দলের সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে ইতিমধ্যেই পৌঁছে দিয়েছেন বনগাণর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।
দিল্লিতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে হলুদ সতর্কতা জারির প্রস্তুতি! সোমবার থেকে জারি রাতের কার্ফু