কাউন্সিলার খুলের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের মধ্যেই আগুনে পড়ুল থানা, পিছনে ষড়যন্ত্র?
হঠাত করেই দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল ঝালদা পুরানো থানা। কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দু খুনের ঘটনার পর থেকে সংবাদ শিরোনামে ঝালদা। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্ট এই সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়ার পরেই জোর কদমে
হঠাত করেই দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল ঝালদা পুরানো থানা। কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দু খুনের ঘটনার পর থেকে সংবাদ শিরোনামে ঝালদা। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্ট এই সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়ার পরেই জোর কদমে তদন্ত শুরু হয়েছে।
আর এই তদন্ত শুরু হওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই ঝালদা পুরানো থানা'য় আগুন। আর এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের তদন্তে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে ঝালদা পুরনো থানার। গত কয়েকদিন আগেই সেই থানায় হানা দেয় সিবিআই।
কারন ওই থানাতেই ঝালদা শহরের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষিত রয়েছে। আর তা সংগ্রহ করতেই সিবিআই সেখানে যান। কিন্তু পরে জানা যায় ঝালাদা থানার নজরদারিতে থাকা সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজই খারাপ। আর সেখান থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা কার্যত খালি হাতেই ফিরেছে। আর এরপরেই ঝালদার পুরানো থানার মধ্যে অগ্নিকান্ডের ঘটনা।
ফলে এই অগ্নিকাণ্ডের মধ্যেই এই ঘটনা তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক তরজাও। বিরোধীদের একাংশের মতে, কাউনিস্লার খুনে ইতমধ্যে পুলিশের নাম জড়িয়েছে। আইসি খুনের ঘটনায় জড়িত বলেই মৃত কাউন্সিলারের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ক্লোজ হওয়া পাঁচ পুলিশকর্মীকে জেরা করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনার সময়ে কাছেই ছিল ঝালদা থানার আরটি ভ্যান। ঘটনার খবর পাওয়ার পরেও তাঁরা নাকি ঘটনাস্থলে যায়নি। গত ২৪ ঘন্টা আগে এই তথ্য সিবিআইয়ের হাতে আসার পরেই এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা! ফলে বিরোধীদের অনেকেই ঝড়যন্ত্রের অভিযোগ আনছেন।
যদিও পুলিশের দাবি, সোমবার অন্নপূর্ণা দেবীর ঘট বিসর্জনের শোভাযাত্রা চলছিল ঝালদা শহরে। আর সেই শোভাযাত্রা থেকে ঝালদা পুরানো থানা টার্গেট করে পটকা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। আর তা থেকেই আগুন বলে দাবি করা হয়েছে পুলিশের তরফে। শুধু তাই নয়, পুলিশের দাবি, থানার চারপাশে প্রচুর বাজেয়াপ্ত বাইক রাখাছিল। সেখানেই ওই পটকা থেকে আগুন লেগে যায় বলে অনুমান পুলিশের।
যদিও ঘটনার পর দমকলের একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এমনটাই পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে। থানায় অগ্নিকাণ্ডের জেরে স্বাভাবিক ভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার এস সেলভা মুরুগান জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দমকলের সঙ্গে কথা বলে আগুন লাগার ঘটনাটি বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।