করোনা গেরোয় ম্লান উৎসবের আমেজ! সোনার দুর্গা আসছে না পুরুলিয়ার জয়পুরের রাজবাড়িতে
করোনা গেরোয় এবারে অনেকটাই ম্লান বাঙালীর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত দুর্গাপুজোর আমেজ। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের পুজো প্যান্ডেলে প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছে সাধারণ মানুষের। এমতাবস্থায় করোনা মহামারী ছাপ স্পষ্ট পুরুলিয়ার জয়পুরের রাজবাড়ির দুর্গাপুজোতেও।

করোনা সঙ্কটের জেরেই সোনার দুর্গা আসছে না জয়পুরের রাজবাড়িতে
এবছর সোনার দুর্গার পায়ের ছাপ পড়বে না জয়পুরের রাজবাড়িতে। মূলত করোনা আবহের কারণেই এবছর সোনার দুর্গা প্রতিমা আনা হচ্ছে না রাজবাড়ির দুর্গা মন্দিরে। সদ্য একথা জানিয়েছেন জয়পুরের রাজবাড়ির অন্যতম সদস্য শঙ্কার নারায়ন সিংহদেও।

৪০০ বছরেরও বেশি পুরনো জয়পুর রাজবাড়ির দুর্গাপুজো
প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো জয়পুরের এই রাজবাড়ির বিখ্যাত দুর্গাপুজো। তৎকালীন রাজা সিংহই প্রথম এই সোনার দুর্গা তৈরি করে পুজোর প্রথম গোড়াপত্তন করেন বলে জানা যায়। তারপর থেকেই সেই রীতি চলে আসছে বংশপরম্পরায়। এদিকে পুজোর চারদিন ওই মূর্তি দুর্গা মন্দিরে ঠাঁই পেলেও বাকি সময় নিরাপত্তার কারণেই তা রাখা হয় ব্যাঙ্কের লকারে।

কড়া পুলিশি প্রহড়াতেই রাজবাড়িতে পা রাখেন উমা
প্রাচীন ঐতিহ্য ও আচারবিধি মেনে দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া জেলায় এখনও পর্যন্ত যে সমস্ত দুর্গপুজো হয় তার মধ্যে জয়পুর রাজবাড়ির দুর্গাপুজো অন্যতম। এদিকে প্রতিবছরই এখানে দুর্গা আসেন কড়া পুলিশি প্রহড়ায়। কিন্তু করোনা মহামারির কারণেই এবারে সোনার দুর্গার পুজো না করার সিদ্ধান্ত নেন রাজ পরিবারের সদস্যরা।

এক নজরে জয়পুরের ইতিহাস
রাজ পরিবারের অন্যতম সদস্য জানান করোনার কারণেই মূলত এবারের পুজোতে একাধিক নিয়মবিধিতে কাঁটছাঁট করা হয়েছে। এদিকে এই পুজোর অন্যতম প্রধান আকর্ষণ রাজ জয় সিংহের বলির খাঁড়া। ১৬০০ সালে পুরুলিয়ার এই জায়গায় প্রথম পা রাখেন রাজা জয় সিংহ। তারপরেই এই এলাকার নাম হয় জয়পুর। আজ থেকে প্রায় ৪০০ বছরেরও বেশি আগে উজ্জ্বয়িনি থেকে এসে এলাকার মুণ্ডা সর্দার কামার মুন্ডাকে এই খাঁড়া দিয়ে হত্যা করেই জয়পুরের পত্তন করেছিলেন তিনি। সেই থেকে রাজবাড়ির অন্যতম প্রধান সম্পদ এই খাঁড়া। প্রতিপুজোয় দুর্গা প্রতিমার সঙ্গে রীতিনীতি মেনে পুজো করা হয় খাঁড়াটিরও।

দুর্গাপুজোর সমস্ত খবর, ছবি, ভিডিও দেখুন এক ক্লিকে
ভয় নেই ভয়কে করো জয়, ভাবনা হাওড়া মিলনীর এ বছরের থিম