অপার কৃপা কেঁদুয়াবুড়ির, অনন্য রূপে পূজা নেন দেবী
Array
ঝাড়গ্রামের অরণ্য সুন্দরী। মা কেঁদুয়াবুড়িই বছরের পর বছর ধরে এখানে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী দুর্গার রূপ। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত মেতে ওঠেন আপামোর গ্রামবাসী। এলাকার মানুষজন এই পূজায় এমন রূপেই দেবীকে পেতে অভ্যস্ত।
অবস্থান
মা
কেঁদুয়াবুড়ির
মন্দির
ঝাড়গ্রাম
থেকে
প্রায়
২৫
কিলোমিটার
দূরে
বেলিয়াবেড়া
থানার
অন্তর্গত
বালিপাল
গ্রামে
অবস্থিত
।
চারিদিকে
সুবুজ
গাছ
পালায়
ঢাকা।
এক
অদ্ভুত
সুন্দর
মনোরম
পরিবেশে
মা
কেঁদুয়াবুড়ির
মন্দির
অবস্থিত।
হাতি,
ঘোড়া
দেখতে
পাওয়া
যায়
মন্দিরের
গর্ভ
কুণ্ডের
চারপাশে।
মা
কেঁদুয়াবুড়ি
কে
এখনও
দুর্গা
রূপেই
পুজো
করে
আসছেন
গোপীবল্লভপুর
২
ব্লকের
বালিপাল,
বাঘাগ্যাড়া,
রামচন্দ্রপুর,
আসনবনি
সহ
আশেপাশের
প্রায়
৩৫
টি
গ্রামের
মানুষ।
আগে
মা
কেঁদুয়াবুড়িকে
পুজো
দেওয়া
হয়য়
তারপর
অন্য
দুর্গা
মণ্ডপে
পুজো
শুরু
হয়।
এখনও
এলাকায়
গৃহস্তের
বাড়িতে
বা
পুজো
মণ্ডপ
গুলিতে
নিয়ম
এটাই।
এলাকায়
যতগুলি
সার্বজনীন
বা
পারিবারিক
পূজা
হয়
প্রত্যেকেই
মা
কেন্দুয়া
বুড়ির
উদ্দেশ্যে
ভেট
পাঠিয়ে
তবেই
পুজো
শুরু
করেন।
বাগদি সম্প্রদায়ের মানুষের পূজো
এটি মূলত এলাকার বাগদি সম্প্রদায়ের মানুষের মূল পূজো। তবে তফাত অন্য জায়গায়। এট হয়েছে সর্বজনীন। তাই এই পূজার আনন্দে মেতে উঠে আপামর জনসাধারণ। এখনও সেই বাগদি সম্প্রদায় পৌরাণিক আচার বিধি মেনে পুজো করে চলেছেন। আশেপাশের প্রায় ৩৫টি গ্রামের মানুষেরা এই মন্দিরে পূজা দিতে আসেন।
ধর্মীয় বিশ্বাস
গ্রামবাসীদের ধর্মীয় বিশ্বাস রয়েছে নানারকম। মা কেন্দুয়া বুড়ি অত্যন্ত জাগ্রত। দেবীর কাছে যদি কেউ কিছু আবদার করে তা বিফল হয় না। তেমন উদাহরণও নেই বলেই মনে করা হয়। তাঁরা মায়ের কাছে তাঁরা বলেন নিজেদের মনের কথা।
মায়ের থানে পুজো দেন যেকোনো শুভ কাজের আগে । মানতও করেন তাঁরা মায়ের কাছে। মায়ের থানে প্রতি মঙ্গলবার ও শনিবার পুজো হয় এখনও সেই আচার, নিয়ম মেনে। প্রতি বছর বালিপাল গ্রামবাসীবৃন্দ প্রায় বছরের পর বছর ধরে মা দুর্গার আচার বিধি মেনে পুজো করে চলেছেন।
ইতিহাস
আনুমানিক পাঁচশো বছর আগে পুরীর ক্ষত্রিয় রাজকুমার বলিপালদেব রাজ্যচ্যুত হয়ে এই এলাকায় এ পৌছান। রাজকুমার বলিপালদেব নিমগাছের তলায় বসে পড়েন। সেই সময় এক উপজাতি কিশােরীর রূপ ধরে দেবী তাকে কেদফল খেতে দেন। বলিপালদেবকে দেবী স্বপাদেশে জানান। নিমগাছের তলায় দেবী কুণ্ডের ভিতরে তিনি অধিষ্ঠিতা। রাজার নাম অনুসারে গ্রামের নাম হয় বালিপাল। আর কেদল থেকে দেবীর নাম হয় কেঁদুয়াবুড়ি।