ঝালদায় এবার টার্গেট তপন কান্দুর ছেলে, খুনের হুমকি দিয়ে চিঠি, কাঠগড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস
ঝালদায় এবার টার্গেট তপন কান্দুর ছেলে, খুনের হুমকি দিয়ে চিঠি, কাঠগড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস
তপন
কান্দুর
পর
এবার
তাঁর
ছেলে
টার্গেট।
দেব
কান্দুকে
খুনের
হুমকি
দিয়ে
চিঠি।
শনিবার
সকালে
ভীম
কান্দু
নামে
এক
ব্যক্তি
দেব
কান্দুকে
প্রকাশ্যে
রাস্তায়
রীতিমত
হুমকি
দিয়েছে
বলে
খবর।
তার
পরেই
তপন
কান্দুর
পরিবার
ভয়
পেয়ে
থানায়
অভিযোগ
জানায়।
ভীম
তিওয়ারি
টিএমসির
সক্রিয়
কর্মী
হিসেবেই
এলাকায়
পরিচিত।
তপন
কান্দুর
পরিবার
থানায়
লিখিত
অভিযোগ
জানিয়ে
দেব
কান্দুর
নিরাপত্তা
দাবি
করেছে।
এদিকে
এই
ঘটনার
পরেই
তদন্ত
শুরু
করেছে
পুলিশ।
তপন কান্দুর ছেলে দেব কান্দু অভিযোগ করেছেন শনিবার সকালে তিনি বাজারে গিয়েছিলেন। সকাল ৯টা বাজে তখন। েসসময় হঠাৎই তাঁর রাস্তা আটকে দাঁড়ায় ভীম তিওয়াড়ি নামেএক ব্যক্তি। হুঁশিয়ারি দিয়ে ভীমকে সতর্ক থাকতে বলেন তিনি। নাহলে বিপদ থেকে বাঁচা যাবে না বলে সেখান থেকে চলে যান ভীম। এফআইআরে দেব কান্দু জানিয়েছেন,তপন কান্দুর হত্যার নেপথ্যে ভীম কান্দুরও হাত রয়েছে। ভীমকে সমাজবিরোধী দাবি করে শাস্তির দাবি জানিেয়ছে তপন কান্দুর পরিবার।
ভীম তিওয়ারি এলাকায় টিএমসি নেতা হিসেবেই পরিচিত। ভোটের সময় টিএমসির হয়ে প্রচারে দেখা গিয়েছে তাঁকে। ঝালদা পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ভীম তিওয়ারি। সেই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন তপন কান্দু। তপন কান্দু খুন হওয়ার পর তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু পুলিশের কাছে যে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাতে ভীম তিওয়াড়ির নাম ছিল। গত পুরভোটে তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু যে ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছিলেন সেই ওয়ার্ডের টিএমসি প্রার্থী রািগনী সাউয়ের হয়ে প্রচার করতে দেখা গিয়েছিল ভীম তিওয়ারিকে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে বেশ কয়েকবার ভীমকে ডেকে পুলিশ জেরা করেছে। এলাকায় জমির দালািলর কাজ করে থাকেন ভীম।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কয়েকদিন আগে তপন কান্দু ঘনিষ্ঠ বন্ধু আত্মহ্যা করেছিলেন। তিনি নিরঞ্জন বৈষ্ণব। পুলিশের চাপেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে সুইসাইড নোটে লিখেছিলেন। তারপরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী শঙ্কা প্রকাশ করে বলে ছিলেন এবার খুন হতে পারেন পূ্র্ণিমা কান্দু। কারণ তপন কান্দু খুনের তথ্য প্রমাণ লোপাট করতে চাইছে টিএমসি। যদিও ইতিমধ্যেই তপন কান্দু খুনের সিবিআই তদন্ত শুরু হয়ে গিয়েছে। ঝালদা থানার আইকে পর পর দুবার ডেকে জেরা করেছে সিবিআই।
জানা গিয়েছে তপন কান্দু খুনে বাংলাদেশ থেকে ভাড়াটে খুনি নিয়ে আসা হয়েছিল। আর ঝাড়খণ্ড থেকে আনা হয়েছিল খুনের অস্ত্র। এই ঘটনায় ধৃতদের জেরা করে একের পর এক চাঞ্চল্য কর তথ্য হাতে পেয়েছেন তদন্তকারীরা। খুনের পর মোটরবাইকে করে তপন কান্দুর খুনিকে ঝাড়খণ্ডে রেখে আসা হয়েছিল।