সারদা-নারদা থেকে বাঁচতেই সিপিএম পায়ে পড়েছে! বিজেপিকে ঘুঁটে দিতে আহ্বান মমতার
বাঁকুড়ার শুনুকপাহাড়ির জনসভা থেকে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল (trinamool congress) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (mamata banerjee)। এদিন তিনি একইসঙ্গে নিশানা করেছেন সিপিএম, বিজেপি এবং কংগ্রেসকে। তবে বেশি আক্রমণ করেছেন সিপিএম এবং বিজেপিকে। তিনি বলেন, বাঁকুড়া শান্তিতে আছে তা সহ্য হচ্ছে না বিজেপির।


সিপিএমকে আক্রমণ
এদিনের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিএমকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, লজ্জা হয় সিপিএম-এর অবস্থা দেখে। তাঁর অভিযোগ সিপিএম এখন বিজেপির পায়ে পড়েছে। এদিনের সভা থেকে তিনি জঙ্গলমহলে বামেদের অত্যাচার নিয়ে সরব হন। তিনি প্রশ্ন করেন, বাঁকুড়ার মানুষ কি সব অত্যাচারের কথা ভুলে গিয়েছেন। তিনি বলেন, সিপিএম হার্মাদরাই রং বদল করে বিজেপি কর্মীতে পরিণত হয়েছে। সিপিএম নেতারা সারদা-নারদা থেকে বাঁচতে বিজেপির পায়ে গিয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

বিজেপিকে আক্রমণ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাভাবিকভাবেই এদিনের সভার মূল্য লক্ষ্য ছিল বিজেপি। তিনি বলেন, ভোট এলেই বাতাসে টাকা ওড়ে। পাশাপাশি ফোন করে টাকার অফার দেওয়ারও অভিযোগ করেছেন তিনি। বিহারের ভোট নিয়ে নানা মন্তব্য উঠে আসে তাঁর কথায়। তৃণমূল সুপ্রিমোর অভিযোগ, বিহারে বিজেপি জিতেছে ম্যানিপুলেশন করে। তিনি বলেন, ওঁরা বলছে গোমূত্রে করোনার আরোগ্য হয়। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন হল কই? পাশাপাশি গোমূত্রে সোনা আছে, দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্যেরও কড়া সমালোচনা করেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তিনি গরু এনে দেবেন। তবে দুধ থেকে সোনা এনে দিতে হবে। পাশাপাশি বিজেপির প্রতি কটাক্ষ করে তিনি বলেন, আগে ঘুঁটে দেওয়া শিখুন, তারপর তো গোবব! বিজেপিকে অপদার্থ রাজনৈতিক দল বলেও আক্রমণ করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি দেশে বেকার ৪০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছে। রেল, কয়লা, বিমান সব বেসরকারিকরণ করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, বছরে একদিন এপ্রিল ফুল হয়, কিন্তু বিজেপির ৩৬৫ দিনই এপ্রিল ফুল। বিজেপিকে মিথ্যার ডাস্টবিন বলেও আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিনও অমিত শাহের বাঁকুড়া সফর নিয়ে কটাক্ষ শোনা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। তিনি বলেছেন, বাঁকুড়ায় এসে তিনি পাঁচতারা হোটেলের খাবার খেয়েছেন।

তৃণমূল করতে গেলে ত্যাগী হতে হবে
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলে দোলাচলে থাকা দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বার্তা দেন। তিনি বলেন তৃণমূল কংগ্রেস করতে হলে ত্যাগী হতে হবে। লোভী হওয়া যাবে না। এরপরেই তাঁকে বলতে শোনা যায় সিপিএম লোভী, বিজেপি ভোগী এবং তৃণমূল ত্যাগী।

মমতার চ্যালেঞ্চ
এদিনের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জও জানান। তিনি বলেন, ক্ষমতা থাকলে যেন তাঁকে জেলে পোরা হয়। তিনি সেখান থেকে লড়াই করেই বিজেপিকে ক্ষমতায় আনবেন।
এদিন নাম না করে রাজ্যপাল ধনখড়কেও কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, কিছু মানুষের কোনও কাজ নেই সকাল থেকে শুধু টুইট করে যান।
শুভেন্দুকেই কি বার্তা দিলেন ঘুরিয়ে, নির্বাচনী প্রচারের ময়দানে যে ইঙ্গিত মমতার