
Jhalda Municipality-তে পালটা চেয়ারম্যান কংগ্রেসের! রাতেই প্রশাসক বসায় রাজ্য সরকারও
ঝালদা পুরসভাকে (Jhalda Municipality) কেন্দ্র করে ক্রমশ চড়ছে উত্তেজনার পারদ! প্রতি মুহূর্তে বদলাচ্ছে পুরসভার রাজনৈতিক ছবিটা। আর এর মধ্যেই প্রশাসক হিসাবে এক তৃণমূল কাউন্সিলারকে নিয়োগ করল রাজ্য সরকার। পুর প্রশাসকের দায়িত্ব সামলাবেন ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার জবা মাছুয়া। যদিও আজ শনিবার পুরসভাতে বোর্ড গঠন করার ছিল কংগ্রেসের।

কিন্ত শুক্রবার রাতেই পুর ও নগর উন্নয়ন দফতর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে। যেখানে পুরসভা র প্রশাসক হিসাবে ওই তৃণমূল কাউন্সিলারকে নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। কিন্ত যেখানে হাইকোর্টের নির্দেশে বোর্ড গঠনের কথা ছিল কংগ্রেসের সেখানে কীভাবে তৃণমূলের প্রশাসক! তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এমনকি কংগ্রেসের (Congress) তরফে তৃণমূলের প্রশাসককে মেনে নেওয়া হচ্ছে না বলে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে।
তবে খবর পাওয়া যাচ্ছে, কংগ্রেসের তরফে পালটা চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়েছে। সভা করে নতুন করে চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। তবে আজ তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। এমনকি প্রশাসকও ছিলেন না বলে খবর। যদিও এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে কংগ্রেস। আজ শনিবারই সম্ভবত আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন কংগ্রেস কাউন্সিলাররা।
গত কয়েকদিন আগেই ঝালদা পুরসভা হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। গত ১৩ অক্টোবর ঝালদার তৃণমূল পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিরোধীরা। ১২ আসনের পুরসভার পাঁচ কংগ্রেস কাউন্সিলর এবং এক জন নির্দল কাউন্সিলর মিলিয়ে মোট ছ'জন অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন। সমর্থন জানিয়েছিলেন আরও একজন। ফলে সুরেশ আগরওয়ালের পদ হারানো নিশ্চিত হয়ে যায়।
এরপর থেকেই একের পর এক নাটক। আর এর মধ্যেই হাইকোর্টের নির্দেশে অনাস্থা আনে কংগ্রেস। ক্ষমতাচ্যুত হন সুরেশ। যদিও এর মধ্যে একাধিক ঝড় বয়ে গিয়েছে। তবে আজ পুরসভাতে নিশ্চিত ভাবে বোর্ড গঠনের কথা ছিল কংগ্রেসের। ১২ আসন বিশিষ্ট ঝালদা পুরসভার একদিকে কংগ্রেস এবং নির্দল মিলিয়ে ৭ জন। অন্যদিকে শাসক দল তৃণমূলের পক্ষে ৫ জন।
ফলে সাত পাঁচের এই লড়াইয়ে ঝালদা শহরে একেবারে নাটকীয় পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তবে শেষ হাসি কে হাসবে সেদিকেই নজর সবার।
অন্যদিকে পুরসভা চত্বরে ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঝালদা পুরসভাকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। একেবারে কড়া তল্লাশির পরেই পুরসভাতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে গোটা এলাকা একেবারে থমথমে পরিস্থিতি।
তবে এই ঘটনায় ঘৃণ্য রাজনীতি এবং চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা তপন কান্দুর স্ত্রী পুর্নিমার। মানুষ সমস্ত কিছু দেখতে পাচ্ছে। এর জবাব তৃণমূল পাবে বলেও দাবি পুর্নিমার।