ফের শিরোনামে ঝালদা পুরসভা! তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনল কংগ্রেস
তৃণমূলের দখলে থাকা ঝালদা পুরসভায় অনাস্থা আনল কংগ্রেস। এব্যাপারে জেলাশাসক ও মহকুমা শাসকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে পুরসভায় কংগ্রেসের দলের তরফে। অনাস্থা প্রস্তাবে কংগ্রেসের কাউন্সিলরদের পাশাপাশি এক নির্দল কাউন্সিলরও সই করেছ
তৃণমূলের দখলে থাকা ঝালদা পুরসভায় অনাস্থা আনল কংগ্রেস। এব্যাপারে জেলাশাসক ও মহকুমা শাসকের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে পুরসভায় কংগ্রেসের দলের তরফে। অনাস্থা প্রস্তাবে কংগ্রেসের কাউন্সিলরদের পাশাপাশি এক নির্দল কাউন্সিলরও সই করেছেন বলে জানা গিয়েছে।
পুরনির্বাচনে ঝালদা পুরসভা
গত ফেব্রুয়ারির পুর নির্বাচনে ঝালদার ১২ টি আসনের মধ্যে ৫ টি করে আসন দখল করে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস। ২ আসন পায় নির্দল। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য দরকার ছিল ৭ টি আসনের। এক নির্দলকে সঙ্গে করে এপ্রিলে ঝালদায় বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। তার আগে মার্চ মাসে ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর তপন কান্দু খুন হয়ে যাওয়ায়, কংগ্রেসের আসন সংখ্যা কমে যায়। ২ নম্বর ওয়ার্ডে তপন কান্দুর হত্যার পরে সেই ওয়ার্ডে উপনির্বাচনে জয়লাভ করেন তপন কান্দুর ভাইপো কংগ্রেস প্রার্থী মিঠুন কান্দু। তারপরে গত ছয়মাসে সেখানে ক্ষমতার রদবদল হয়নি।
ঝালদা পুরসভায় বর্তমান অবস্থা
ঝালদা পুরসভায় বর্তমানে কংগ্রেস ও তৃণমূলের ৫ টি করে আসন রয়েছে। অন্যদিকে ২ নির্দল কাউন্সিলরের একজন কংগ্রেসকে এবং একজন তৃণমূলকে সমর্থন করেছেন। জেলাশাসক ও মহকুমা শাসকের কাছে দেওয়া অনাস্থার চিঠিও কংগ্রেসের তরফে ৬ জনের সমর্থনের কথা বলা হয়েছে।
কারা কংগ্রেসকে সমর্থন করছেন
কংগ্রেসের তরফে জেলাশাসক ও মহকুমা শাসকের কাছে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে, তাতে প্রথমেই রয়েছে নির্দল কাউন্সিলর সোমনাথ কর্মকারের নাম। তিনি ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। এছাড়াও কংগ্রেসের বাকি ৫ কাউন্সিলর হলেন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিপ্লব কয়াল, ৪ নম্বর ওয়ার্ডজের পিন্টু চন্দ্র, ২ নম্বর ওয়ার্ডের মিঠুন কান্দু, ১২ নম্বর ওযার্ডের পুর্নিমা কান্দু এবং ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিনয়কান্ত কুণ্ডু।
কেন অনাস্থা
অনাস্থা প্রস্তাব আনা কাউন্সিলরদের অভিযোগ, গত ছয়মাসে পুরসভায় কোনও ভাল কাজ হয়নি। এছাড়াও কাউন্সিলরদের অভিযোগ, তাঁরা প্রাব্য সম্মান পাচ্ছেন না। নয় নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলক বিপ্লব কয়াল বলেছেন তাঁরা ছয়জন অনাস্থার পক্ষে সই করেছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, গয় ছয় মাসে সাধারণ মানুষ কোনও পরিষেবা পায়নি। তিনি অভিযোগ করেন একনায়কতন্ত্র চলছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল অবশ্য এসবে গুরুত্ব দিতে নারাদ। তিনি বলেছেন, আগে অনাস্থা আসুক তারপর দেখা যাবে।
নবান্নে গিয়ে জেরা করা হোক মুখ্যমন্ত্রীকে! শুভেন্দু নিশানায় মমতার মন্ত্রিসভার আরও এক