ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গড়ল কংগ্রেস! SDO-র বিরুদ্ধে প্রক্রিয়ায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
শেষ পর্যন্ত পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠন করল কংগ্রেস। ৬ কাউন্সিলরের সমর্থন নিয়ে চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। কংগ্রেসের তরফে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায় সাবোতাজের অভিযোগ আনা হয়েছে জেলাশাসকের প্রতিন
শেষ পর্যন্ত পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠন করল কংগ্রেস। ৬ কাউন্সিলরের সমর্থন নিয়ে চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। কংগ্রেসের তরফে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায় সাবোতাজের অভিযোগ আনা হয়েছে জেলাশাসকের প্রতিনিধি এসডিওর বিরুদ্ধে।
প্রসঙ্গত হাইকোর্ট জেলাশাসকের উপস্থিতিতে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।
হাইকোর্টের নির্দেশে ভোটাভুটি
শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারি বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ নির্দেশ দেয় সোমবার ১৬ জানুয়ারি জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে হবে। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারবে বলেও নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই মতো ঝালদা শহরে এদিন ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। শুক্রবার শুনানির সময় ২ ডিসেম্বর রাজ্য সরকারের প্রশাসক বসানোর বিজ্ঞপ্তি খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
নির্দল শিলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত
এদিন জেলাশাসকের প্রতিনিধি এসডিও-র উপস্থিতিতে চেয়ারম্যান নির্বাচন করা হয়। কংগ্রেসের পাঁচজন কাউন্সিলর ছাড়াও এক নির্দল অপর নির্দল শিলা চট্টোপাধ্যয়কে ভোট দেন। শেষ পর্যন্ত এসডিও শিলা চট্টোপাধ্যয়কে চেয়ারম্যান নির্বাচিত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে এই ঘোষণার সঙ্গে কংগ্রেসও ঝালদা পুরসভা দখল করল।
এসডিও-র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ
কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাত ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচনে এসডিও-র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, হাইকোর্টের নির্দেশ দিয়েছিল জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে চেয়ারম্যান নির্বাচনের প্রক্রিয়া চালাতে। সেখানে জেলাশাসকের প্রতিনিধি এসডিও সেই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি সকাল থেকেই সেই প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটনার চেষ্টা করে গিয়েছেন। ভোটাভুটির প্রক্রিয়া দিনের প্রথম অংশে না করে দ্বিতীয় অংশে নিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই কংগ্রেস নেতা। কারণ দ্বিতীয় অংশে হাইকোর্টে ঝালদা নিয়ে একটি মামলা ছিল। এছাড়াও তিনি কীভাবে চারজন কাউন্সিলরকে ব্যালট পেপার বাইরে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিলেন সেই প্রশ্নও তুলেছেন নেপাল মাহাত। পুরো বিষয়টি হাইকোর্টে জানানো হবে, বলেছেন তিনি।
পুরনির্বাচনে কারও সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না
২০২২-এর ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যের ১০৭ টি পুরসভার সঙ্গে ঝালদায়ও পুরসভা নির্বাচন হয়। সেই সময় ঝালদার ১২ টি আসনের মধ্যে ৫ টি করে আসন দখল করে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস। ২ টি আসন পায় নির্দলরা। বোর্ড গঠনের জন্য প্রয়োজন ছিল ৭ টি আসনের। এপ্রিল মাসে এক নির্দলকে সঙ্গে নিয়ে ঝালদায় বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। অন্যদিকে মার্চে ২ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর তপন কান্দু খুন হয়ে যাওয়ায়, কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ৫ থেকে কমে ৪ হয়ে যায়। পরে অবশ্য সেই ২ নম্বর ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে জয়লাভ করেন তপন কান্দুর ভাইপো কংগ্রেস প্রার্থী মিঠুন কান্দু। নির্দলরা তৃণমূলের পাশ থেকে সরে যেতেই বোর্ড সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে এবং তৃণমূল ক্ষমতা হারায়। কংগ্রেস বোর্ড গঠনের দাবি করলেও, রাজ্য সরকার সেখানে প্রশাসক বসায়। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে যায় রাজ্য কংগ্রেস।