ঝালদা পুরসভায় ফের ডামাডোল, কাউন্সিলর পদ খারিজের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে শীলা চট্টোপাধ্যায়
কংগ্রেস নেত্রী শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ। হাইকোর্টে মামলা করতে চেয়ে আর্জি জানান কংগ্রেস কাউন্সিলর।
ঝালদা পুরসভায় ডামাডোল পরিস্থিতি কাটছেই না। কংগ্রেস নেত্রী শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ। হাইকোর্টে মামলা করতে চেয়ে আর্জি জানান কংগ্রেস কাউন্সিলর। আদালত তার অনুমতি দিয়েছে। আজই সেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে হাইকোর্ট। গতকাল চেয়ারপার্সন শীলা চ্যাটার্জির কাউন্সিলর পদ খারিজ করার নোটিস পাঠায় মহকুমা শাসক। তাঁর জায়গায় পুরসভায় চেয়ারম্যান পদে বসানো হয় তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরকে।
হাইকোর্টে শীলা চট্টোপাধ্যায়
কংগ্রেসের পরিচালিত ঝালদা পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে হঠাৎ করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে। পুরো আইনে দলবদলের কারণ দেখিয়ে গতকাল খারিজ করা হয় তাঁর কাউন্সিলর পদ। তাঁর জায়গায় পুরসভার প্রধান হিসেবে বসানো হয় তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। আজই হাইকোর্টে তাঁর মামলার শুনানি হতে পারে।
কাউন্সিলর পদ খারিজ
শুরু থেকেই পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভা নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। গতকাল ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সন শীলা চট্টোপাধ্যায়ের কাউন্সিলর পদ খারিজ করে দেন মহকুমা শাসক। জেলাশাসক এবং মহকুমা শাসক উভয়ই জানিয়েছেন পুর আইন অনুযায়ী নির্বাচনের ৬ মাসের মধ্যে বারবার দলবদল করা যায় না। কিন্তু নির্দল কাউন্সিলস হিসেবে পুরভোটে জয়ী হয়েছিলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। তারপর তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তারপর ফের তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। এভাবে বারবার দলবদল করা পুর আইনের বিরুদ্ধে। সেকারণে তাঁর কাউন্সিলর পদ খারিজ করা হয়েছে বলে জানানো হয় নোটিসে।
শাসক দলের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ
চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর কাউন্সিলর পদ খারিজের নেপথ্যে শাসক দলের চক্রান্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেেছন শীলা চট্টোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন পুরআইনের বিরুদ্ধেই যদি এটা যায় তাহলবে আগে কেন তাঁর কাউন্সিলর পদ খারিজ করা হয়নি। চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হওয়ার পর কেন তাঁর কাউন্সিলর পদ খারিজ করা হল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য শীলা চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার পরেই তৃণমূল পরিচালিত পুরবোর্ড ভেঙে যায়। তার জায়গায় কংগ্রেস বোর্ড গঠন করে।
তপন কান্দু হত্যাকাণ্ড
পুরসভা ভোটে ঝালদা পুরসভা ত্রিশঙ্কু হয়েছিল। তারপরেই হঠাৎ করে খুন হয়ে যান কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। এই খুনের ঘটনার নেপথ্যে শাসক দলের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তাঁর পরিবার। এই নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। হাইকোর্ট তপন কান্দুর হত্যাকাণ্ডের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই তদন্ত এখনও চলছে। তার মধ্যেই দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন হয়েছে তপন কান্দুর কেন্দ্রে। তাতে জয়ী হয়েছে কংগ্রেসের প্রার্থী তপন কান্দুর ভাইপো।
১১ বছর পর শাপমুক্তি, অবশেষে কার্টুন কাণ্ডে আদালতের অব্যাহতি অম্বিকেশ মহাপাত্রকে