ঝালদা উপনির্বাচনে কান্দু পরিবারেই ভরসা কংগ্রেসের, কাকার মৃত্যুর যোগ্য জবাব দিতে প্রস্তুতি মিঠুনের
ঝালদা উপনির্বাচনে কান্দু পরিবারেই ভরসা কংগ্রেসের, কাকার মৃত্যুর যোগ্য জবাব দিতে প্রস্তুতি মিঠুনের
ঝালদায় পুরসভা উপনির্বাচনে কান্দু পরিবারের উপরেই আস্থা রাখল কংগ্রেস। তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দুকে ২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী করার কথা ঘোষণা করেছে কংগ্রেস। এই কেন্দ্রেই প্রার্থী ছিলেন তপন কান্দু। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের কয়েকদিনের মধ্যেই গুলি করে খুন করা হয় তাঁকে। সেই ঘটনার সিবিআই তদন্ত চলছে এখনও। কাকা মৃত্যুর প্রতিবাদে বারবারই প্রকাশ্য সরব হতে দেখা গিয়েছিল মিঠুনকে।
কান্দু পরিবারেই ভরসা কংগ্রেসের
তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডের পর ফের ঝালদা পুরসভার উপনির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। এই কেন্দ্রে সেই কান্দু পরিবারের উপরেই ভরসা রেখেছে কংগ্রেস। তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দুকে প্রার্থী করার কথা ঘোষণা করেছে হাত শিবির। তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দু ঝালদার ২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী হচ্ছে। কাকার অসম্পর্ণ কাজ পুরো করবেন তিনি। এলাকায় প্রচারে নেমে এমনই প্রতিশ্রুতি িদয়েছেন মিঠুন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য তপন কান্দুর হত্যার ঘটনা যে পুরোভোটে এবার বড় প্রভাব ফেলবে ঝালদায় তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
তপন কান্দুকে প্রকাশ্যে খুন
পুরভোটে যে তিনটি জায়গায় ত্রিশঙ্কু পুরবোর্ড তৈরি হয়েিছল তার মধ্য অন্যতম ছিল পুরুিলয়ার ঝালদা পুরসভা। এই কেন্দ্রে সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল কংগ্রেস। সহজেই বোর্ড গঠন করতে পারত। কিন্তু পুরভোটের ফলাফল প্রকাশের কয়েকদিনের মধ্যেই পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় তপন কান্দুকে। দিনটা ছিল ১৩ মার্চ। সেই ঘটনায় পুলিশের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছিল পরিবার। তপন কান্দুকে টিএমসিতে যোগ দেওয়ার জন্য জোর করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ করে পরিবার।
পারিবারিক শত্রুতার কারন
তপন কান্দু খুনে পারিবারিক বিবাদ জড়িয়ে রয়েছে বলে প্রথম থেকে দাবি করে পুিলশ। এই ঘটনায় তপন কান্দুর আরেক ভাইরো দীপক কান্দুকে গ্রেফতার করে পুিলশ। কাকার বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েিছলেন দীপক। টিএমসির টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। তিনিই চক্রান্ত করে কাকাকে খুন করিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জেল হেফাজতে রয়েছেন দীপক। ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের আধিকারীকরা তাঁকে জেরা করেছে জেলে গিয়ে।
সিবিআই তদন্ত
তপন কান্দু খুনের ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সিবিআই তদন্তভার হাতে নেওয়ার আগেই রহস্যমৃত্যু হয় প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের। সুইসাইড নোটে নাকি তিনি িলখে গিয়েছিলেন বারবার পুলিশি জেরায় তিনি মানসিক চাপ নিতে পারছেন না। সেকারণেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন। ৬ এপ্রিলে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল তার। তাঁকেই খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে।