নবান্নের অর্থ সাহায্যেও হচ্ছে না সুরাহা, থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত বন্ধনের চিকিৎসায় মাথায় হাত পরিবারের
করোনা ভয়ে তটস্থ রাজ্য তথা গোটা দেশ। রোজই বেড়ে চলেছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। করোনার জেরে বেহাল অবস্থা গোটা রাজ্যেরই স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর। রক্তের আকাল ব্লাড ব্যাঙ্কগুলিতে। যার জেরে চরম সঙ্কটে থ্যালালসেমিয়া রোগীরা। এদিকে করোনা ও লকডাউনের জোড়া ফাঁড়ায় চরম আর্থিক সঙ্কটে দেশের নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্রসীমার নীচে থাকা পরিবারগুলি। এই দুর্দিনে ১ বছরের থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত ছেলেকে নিয়ে চরম সঙ্কটে পড়েছেন বাঁকুড়ার ওন্দার কাঁটাবাড়ির বাসিন্দা নিতাই দে ও তাঁর স্ত্রী।

আজ থেকে প্রায় ৬ মাসেই আগেই একরত্তি বন্ধনের শরীরে প্রথম থ্যালাসেমিয়া ধরা পড়ে বলে জানাচ্ছে তার পরিবার। তারপর থেকেই প্রতি ২৮ দিন অন্তর প্রয়োজন হচ্ছে রক্তের। তাতেও খরচ বিপুল। বর্তমানে ধার-বাকি করে ছেলেকে চেন্নাইয়ে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান পেশায় আলু বিক্রেতা নিতাই বাবু। সেখানে চিকিৎসকেরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ছোট্ট বন্ধনকে বাঁচাতে গেলে শীঘ্রই করতে হবে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন বা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন। যাতে খরচ প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা।
এ কথা জানার পড়েই মাথায় হাত নিতাই বাবুর। বিষ্ণুপুর বাজারে আলু বিক্রি করে মাসে সামান্য কিছু টাকা উপার্জন করেন তিনি। সেখান থেকেও এত টাকার যোগান দেওয়া কার্যত অসম্ভব। আত্মীস্বজন ও বন্ধুবান্ধবেরা কিছু সাহায্য করলেও তা খুবই সামান্য। এরপরেই একরত্তি বন্ধনের চিকিৎসার জন্য মুখ্যমন্ত্রীরও দারস্থ হন তিনি। নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল মারফত মেলে ১ লক্ষ টাকার অর্থ সাহায্য। এখনও দরকার প্রায় ২৩ থেকে ২৪ লক্ষ টাকা। বর্তমানে এত তাড়াতাড়ি এই বিপুল পরিমাণ টাকার যোগান কোথা থেকে হবে ভেবেই কুলকিনারা পাচ্ছেন না তিনি ও তাঁর স্ত্রী।

মুকুলদার অভিজ্ঞতা-দূরদৃষ্টতাই হঠিয়ে দেবে তৃণমূলকে, বাবুলের মুখে পরিবর্তনের বাণী