একুশের ক্ষমতা দখলে দলবদলিদের তুষ্ট করছে তৃণমূল, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমানে সাংগঠনিক রদবদল
একুশের ক্ষমতা দখলে দলবদলিদের তুষ্ট করছে তৃণমূল, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমানে সাংগঠনিক রদবদল
বিজেপি থাবা বসিয়েছে বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়ায়। একুশের ভোটের আগে তাই এই তিন জেলায় একটু বেশিই নজর দিচ্ছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দল বদলে যাঁরা তৃণমূলে এসেছেন তাঁদের গুরুত্ব বাড়িয়ে অন্য খেলায় মেতেছে তৃণমূল। বাঁকুড়ায় ক্ষমতা বাড়ানো হল বিজেপি থেকে আসা তুষারকান্তি ভট্টাচার্যের।
দল বদলি নতুনদের তুষ্ট করছেন মমতা
বিধানসভা ভোটকে টার্গেট করেই বাঁকুড়া, পুরুলিয়া আর পশ্চিম বর্ধমানের ব্লু প্রিন্ট তৈরি করেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে দলে ফেরা বা অন্য দল থেকে তৃণমূলে আসাদের একটি বেশিই গুরুত্ব দিতে শুরু করেছেন। বিশেষ করে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া এবং পশ্চিমবর্ধমানে দলে আসা নতুনদের গুরুত্ব বাড়ানো হয়েছে। এই তিন জেলাতেই বিজেপি থাবা বসিয়েছে শাসক দলে।
শক্তি বাড়ল তুষারকান্তির
কয়েকদিন আগেই বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তুষারকান্তি ভট্টাচার্য। তাঁকে বাঁকুড়া জেলা কমিটির সহ সভাপতি পদে বসানো হয়েছে। অন্যদিকে পুরুলিয়ায় তৃণমূলে যোগ দেওয়া শঙ্কর নারায়ণ সিং দেওকে জয়পুর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি করা হয়েছে। আবার বিজেপি থেকে আসা বিষ্ণু চরণ মাহাতোকে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরের টাউন সভাপতি করা হয়েছে। কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে আসা চঞ্চল মৈত্রকে করা হয়েছে পুরুলিয়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক।
ভোট ব্যাঙ্কের লড়াই
দলবদলিদের তুষ্ট করে রাখতে পারলে অনেকগুলি ভোট যোগ হবে শাসক শিবিরে। তাঁদের অনুগামীরা তো রয়েইছে। এছাড়া তাঁদের প্রভাবেও অনেকে তৃণমূলে ভোট দেবে। অন্যদিকে আবার বিজেপির ভোট ব্যাঙ্কেও থাবা বসাবেন এরা। সব দিক বিবেচনা করেই পরিকল্পিত খেলা শুরু হয়েছে তিন জেলায়।
বিজেপিকে বিঁধতে পরিকল্পনা
যেভাবে বিজেপি সিঁধ কেটেছিল শাসক দলের ঘরে। একের পর এক তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ককে ভাঙিয়ে নিয়ে গিয়েছিল তারা। ঠিক একই ছকে বিজেপিকে মাৎ দিতে চাইছেন মমতা। তাই একুশের শহিদ স্মরমৃণের মঞ্চ থেকে দলবদলিদের ফিরে আসার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি।
আম্ফান কাঁটা এবার বিজেপির ঘরেও, তোলাবাজির অভিযোগে তৃণমূল মন্ত্রীর দ্বারস্থ বিজেপির যুব মোর্চা নেতা