বিজেপি সাংসদের গাড়ি লক্ষ্য করে ছোঁড়া হল ইট, কোনও রকমে রক্ষা সুভাষ সরকারের
ভোট পরবর্ত্তী হিংসা অব্যাহত। জেলার বিভিন্ন অংশ থেকে অশান্তির খবর সামনে আসছে। এই অবস্থায় নিজের চোখে সন্ত্রাস বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখতে গিয়েছেন রাজ্যপাল ধনখড়। যা দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনকে তীব্র আক্রমন শানিয়েছেন তি
ভোট পরবর্ত্তী হিংসা অব্যাহত। জেলার বিভিন্ন অংশ থেকে অশান্তির খবর সামনে আসছে। এই অবস্থায় নিজের চোখে সন্ত্রাস বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখতে গিয়েছেন রাজ্যপাল ধনখড়। যা দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনকে তীব্র আক্রমন শানিয়েছেন তিনি।
এমনকি হিংসার তান্ডবনৃত্য চলছে বলেও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। যদিও রাজ্যের দাবি বাংলা শান্ত রয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে বলে ইতিমধ্যে দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই বিতর্কের মধ্যেই বাঁকুড়াতে আক্রান্ত সাংসদ।
আক্রান্ত বিজেপি সাংসদ
আক্রান্ত হলেন রাজ্য বিজেপির সহ সভাপতি তথা বাঁকুড়ার সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার। খবরে প্রকাশ, শুক্রবার দুপুরে একটি দলীয় কর্মসূচীতে যোগ দিতে বাঁকুড়া সদর থানার পাতালখুরি গ্রামে যাচ্ছিলেন সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার। সেই সময় নন্দীগ্রাম পেরিয়ে একটি আমবাগানের কাছে তাঁর গাড়ি পৌঁছতেই একটি পাথর কেউ বা কয়েকজন ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। সাংসদের গাড়ি লক্ষ্য করে আসা ওই পাথরে গাড়িটির পিছনের কাঁচ ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়। পাথরটি এতটাই বড় ছিল যে আঘাত লাগলে বড়সড় ক্ষতি হয়ে যেত। তবে সাংসদ ও তাঁর দেহরক্ষী দুজনেই অক্ষত আছেন বলে জানা যাচ্ছে। কোনও রকমে পাথরটি পিছনের সিটে এসে আটকে যায় বলে জানা যায়।
বিজেপি কর্মীদের উপর বাঁকুড়াতে হামলা চলছে
এই ঘটনার পর ওই জায়গাতেই গাড়ি থেকে নেমে পড়েন সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার। পরে ঘটনার খবর পেয়ে পৌঁছয় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ। বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার এবিষয়ে বলেন, রাজ্য জুড়ে যে সন্ত্রাস চলছে এই ঘটনা তারই একটা অঙ্গ। শাসকদলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে বিজেপি সাংসদ বলেন, বাঁকুড়াতে তৃণমূলের ভালো ফল হয়নি। আর এরপর থেকেই বিজেপি কর্মীদের উপর বাঁকুড়াতে হামলা চলছে বলে অভিযোগ। এভাবে বিজেপি কর্মীদের আটকানো যাবেনা বলেও তিনি দাবি করেন। সাংসদ বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে কে জড়িত তাঁকে চিনতে তাঁরা পাননি। আচমকাই এই ঘটনা ঘটেছে।
বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দের ফল, অভিযোগ তৃণমূল
যদিও বিজেপি সাংসদের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলের জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা এই প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের দলের কেউ যুক্ত নয়। যা হয়েছে পুরোটাই বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দের ফল বলে তিনি দাবি করেন। তৃণমূল এমন কাজ করতে পারেনা। একটা সংস্কৃতি রয়েছে বলে দাবি তৃণমূলের। তবে শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
মমতা সরকারকে নিশানা
অন্যদিকে আজ সকালে অসমের ধুবড়ি জেলায় বাংলায় ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের শিবিরে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। বাংলা থেকে ভয়ে বিজেপি কর্মীরা অন্যরাজ্যে আশ্রয় নিেয়ছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্য সরকারকে এই নিয়ে নিশানা করেছেন রাজ্যপাল। তিনি অভিযোগ করেছেন হিংসা নিয়ন্ত্রণে কিছু করেনি রাজ্য সরকার। এই ঘটনের ঘটনা আর সহ্য করা যাচ্ছে না।
শান্ত রয়েছে বাংলা
উল্লেখ্য এর আগেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "বাংলায় কিছু হয়নি। বাংলা শান্ত আছে। একটা সরকার শপথ নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যারা কেন্দ্রীয় দল পাঠিয়ে দেয়, তাদের ন্যূনতম সৌজন্য বোধ আছে? এত বড় ল্যান্ডস্লাইড ভিকট্রি নিয়ে একটা সরকার এসেছে, আইনশৃঙ্খলা তো রাজ্যের বিষয়। কেন কেন্দ্রীয় দল উত্তেজনা ছড়াবে? তাঁরা এসেছেন, মুখ্যসচিব বৈঠক করে কথা বলে নিয়েছেন। এরপর তারা বিজেপির বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়াচ্ছে কেন? তারা টিএমসির বাড়িতে গিয়েছে? তারা এসইউসিআইয়ের বাড়িতে গিয়েছে? আমাদেরও তো কর্মীরা মারা গিয়েছন।" প্রসঙ্গত, শপথ নেওয়ার পরেই নবান্নে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিনিধি দল।